Logo

সারাদেশ

চিতই, পাটিসাপটা আর ভর্তার স্বাদে প্রাণবন্ত শীতের সন্ধ্যা

Icon

এম ফাহিম, চরফ্যাসন (ভোলা)

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:০৯

চিতই, পাটিসাপটা আর ভর্তার স্বাদে প্রাণবন্ত শীতের সন্ধ্যা

চরফ্যাসন প্রেস ক্লাব ও ব্রজগোপাল টাউন হলের সামনে বিকেলের পর থেকেই বসে নানা রকম পিঠার পসরা। ছবি : বাংলাদেশের খবর

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে চরফ্যাসনে শুরু হয়েছে বাহারি পিঠার বাজার। চরফ্যাসন প্রেস ক্লাব ও ব্রজগোপাল টাউন হলের সামনে বিকেলের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের পিঠার পসরা বসে যায়। নিয়মিতভাবে এখানে চার-পাঁচটি পিঠার দোকান দেখা যায়।

গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার বাজার হয়ে উঠছে জমজমাট। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে আনন্দ নিয়ে গরম গরম পিঠা উপভোগ করছেন। সব বয়সের মানুষের পদচারণায় পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।

পিঠার স্বাদ বাড়াতে সঙ্গে পরিবেশন করা হচ্ছে নানা ধরনের ভর্তা। সরিষা, চিংড়ি, শুঁটকি, ধনেপাতা, কাঁচা ও শুকনো মরিচসহ বিভিন্ন উপাদানে তৈরি এসব মুখরোচক ভর্তা ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। দোকানিরা সরিষা, শুঁটকি, মরিচ, ধনেপাতা, বাদাম, জলপাই, বটবডি, শুকনো মরিচ, কুমড়ো ও শাকভর্তাসহ নানা স্বাদের ভর্তা সাজিয়ে রেখেছেন।

শুধু পৌর শহরে নয়, গ্রামের হাটবাজারেও সন্ধ্যার পর ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান বসে। শীতকালে এসব পিঠার প্রতি মানুষের আগ্রহ দ্বিগুণ হয়ে যায়। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, ডিম চিতইসহ নানা রঙের ও স্বাদের পিঠা দোকানিরা সাজিয়ে রাখেন।

সন্ধ্যার পর দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। কেউ দোকানের এক কোণে বসে খাচ্ছেন, কেউ কেউ জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে পিঠা উপভোগ করছেন। অনেকে আবার প্যাকেট করে পরিবারের জন্যও পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন।

পিঠা খেতে আসা রাজিব হোসেন বলেন, ‘শীতে এসব পিঠা খেতে দারুণ লাগে। গরম গরম পিঠা খেলে শরীরে উষ্ণতা ছড়িয়ে যায়। তাই প্রায় প্রতিদিনই বন্ধুদের সঙ্গে এখানে আসি। শীত আর পিঠার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক রয়েছে।’

চরফ্যাসন ঘুরতে আসা হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, ‘শীত আর চিতই পিঠার এক প্রাচীন সম্পর্ক আছে। শীতের আনন্দ আমরা পিঠার মাধ্যমে উদযাপন করি।’

তিনি বলেন, প্রতিদিন বিকেলে নানা শ্রেণির মানুষ এখানে পিঠা খেতে আসে, সন্ধ্যার পর পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

মৌসুমি পিঠার দোকানি মাজেদ ও বাহা উদ্দিন জানান, বর্তমানে তাদের পিঠার বিক্রি বেশ ভালো চলছে। তারা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। আমাদের দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি চলে। প্রতিদিন ৮–১০ হাজার টাকার মতো বেচাকেনা হয়। কয়েক দিন পর বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’

এম ফাহিম/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর