Logo

সারাদেশ

চট্টগ্রামে অনুমোদন ছাড়াই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা

Icon

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:২৪

চট্টগ্রামে অনুমোদন ছাড়াই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আবারও অনুমোদনহীন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। বটতলী শাহ মোহছেন আউলিয়ার পশ্চিম পাশে ‘সাঙ্গু ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল পিএলসি’ নামে একটি নতুন হাসপাতাল অনুমোদন ছাড়া প্রচারণা চালিয়ে উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যানার, ফেস্টুন, ভিডিও বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্নভাবে হাসপাতালটির প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে হাসপাতালটি গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানে কোনো সরকারি অনুমোদন, লাইসেন্স, অবকাঠামো মূল্যায়ন কিংবা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা আইনত দণ্ডনীয় হলেও উদ্যোক্তারা বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি শীঘ্রই উদ্বোধনের হবে বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

আনোয়ারার সচেতন নাগরিকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ভুল চিকিৎসা আর ভুল রিপোর্টসহ নানা অনিয়ম নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। রিপোর্টে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতিসহ মানহীন এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সেবা নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।’

তারা আরও বলেন, ‘হাসপাতাল মানে মানুষের জীবন নিরাপত্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, আইসিইউ সক্ষমতা, ইমার্জেন্সি সাপোর্ট সব কিছুই নিয়ম অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ সাঙ্গু ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল পিএলসি কোনো ধরনের আইনি অনুমোদন ছাড়াই রোগী আকর্ষণের নামে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

নাজিম উদ্দিন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা ভালো কাজ। কিন্তু তার আগে সরকারের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। অনুমোদন ছাড়াই উদ্বোধন করতে চাওয়া মানে মানুষের জীবনের সাথে খেলা করা।’

সোহেল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘অনুমোদন ছাড়াই হাসপাতাল চালানোর সঙ্গে যেসব চিকিৎসক বা উদ্যোক্তা জড়িত আছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। কারণ পূর্বেও দেশে অনেক অনুমোদনহীন হাসপাতালের কারণে রোগীদের মৃত্যুসহ নানা জটিল ঘটনার নজির রয়েছে। নীতিবহির্ভূত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। অনুমোদনবিহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করলে রোগীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

এ বিষয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ডা: মিজানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা : মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অনুমোদনহীনভাবে হাসপাতাল চালালে অভিযান পরিচালনা করে তা বন্ধ করা হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউওনও) বলেন, ‘সাঙ্গু ট্রমা জেনারেল হাসপাতালে উদ্বোধনের পর পর অভিযান পরিচালনা করা হবে। আইন অনুযায়ী ডকুমেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হলে সিলগালা করা হবে।’

সালাহউদ্দিন/এনএ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর