বাংলাদেশের খবর
বগুড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের ভাতা কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসা মোকছেদ আলী (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় জনগণ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বেলাইল হিন্দুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কয়েকদিন আগে মোকছেদ আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তি এসে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গ্রামের দরিদ্র মানুষদের ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে। পরে তার কথায় বিশ্বাস করে অনেকে তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সরবরাহ করেন।
আজ সকাল সাড়ে ৯টা দিকে মোকছেদ আলী সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনলাইন আবেদন দেখানোর কথা বলে ভাতার খরচ বাবদ জনপ্রতি ২৫০ টাকা দাবি করেন এবং গোপীনাথ, মিলন, জমনী রানীসহ অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেন।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় ভাতা কার্ড সংক্রান্ত কোনো সঠিক তথ্য বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়।
ভুক্তভোগী মোমিনুল ইসলাম জানান, `ঘটনাস্থলে উপস্থিত শ্রী বিপ্লব কুমার গুপ্ত, মিলনসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।'
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাফুজ আলম বলেন, ‘আটক মোকছেদ আলী জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। স্থানীয়দের অভিযোগ তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।’
অভিযুক্তের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না জানতে চাইলে পরিদর্শক মাহাফুজ আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকলেও থাকতে পারে, তবে আমাদের কাছে এখনো এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
জুয়েল/এনএ

