বাংলাদেশের খবর
গাজীপুরের শ্রীপুরে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বলাকা কমিউটার (৫০ ডাউন) ট্রেনের ইঞ্জিনে মবিল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে উপজেলার সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশনে আটকে পড়ে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটলে ঢাকা–ময়মনসিংহ রেলপথে সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাজারো যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
বলাকা ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) গোলাম রাব্বানী জানান, ‘কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে প্রায় ৪ কিলোমিটার যাওয়ার পরই হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। বিষয়টি জানানো হলে আমাকে এগিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু সাতখামাইর স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছাতেই ইঞ্জিন পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়। পরে মেরামতের চেষ্টা শুরু হয়।’
ঘটনার পরপরই ইঞ্জিন মেরামতে কাজ শুরু হলেও তাতে সমাধান না হওয়ায় রেললাইন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত ট্রেনটি সাতখামাইর স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল।
পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেন শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে তার ইঞ্জিন সাতখামাইরে পাঠানো হয় বিকল ইঞ্জিন উদ্ধারের জন্য। এরপর লাইন সচল করার কাজ শুরু হয় এবং দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
ইঞ্জিনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ময়মনসিংহ থেকে কাঁচামাল নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে থাকা ব্যবসায়ী রহিম বলেন, ‘ইঞ্জিনে মবিল বিস্ফোরণের কারণে এতক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। আমার সব কাঁচামাল নষ্ট হয়ে গেছে। বড় ক্ষতির মুখে পড়লাম।’
আরেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ‘হঠাৎ বিস্ফোরণে আমারও অনেক ক্ষতি হয়েছে। এভাবে বারবার ট্রেন বিকল হলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
বলাকা ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, ‘বিকেল থেকে সন্ধ্যার অন্ধকারে ট্রেনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে। পানি, নিরাপত্তা বা কোনো তথ্যই ঠিকমতো পাইনি। এমন ভোগান্তি নিয়মিত হচ্ছে।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন অফিসার সাইদুর রহমান জানান, ‘ইঞ্জিনে মবিল বিস্ফোরণের কারণে ট্রেনটি বিকল হয়ে পড়েছে। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উদ্ধারে অন্য ট্রেনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। লাইন দ্রুত সচল করার চেষ্টা চলছে।’
আতাউর রহমান সোহেল/এনএ

