হাড় কাঁপানো শীত পঞ্চগড়ে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৮
শেষ অগ্রহায়নে অনুভূত হচ্ছে পৌষের হাড় কাঁপানো শীত। ছবি : বাংলাদেশের খবর
শেষ অগ্রহায়নে অনুভূত হচ্ছে পৌষের হাড় কাঁপানো শীত। গত দুইদিন ধরে ১০ ডিগ্রির ঘরে রেকর্ড হচ্ছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে হিমকন্যা পঞ্চগড়ের মানুষ জর্জরিত শীতের দাপটে। দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ শীতে অনেকে শীতবস্ত্রের অভাবে ভুগছেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায়ও রেকর্ড ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরেই রেকর্ড হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরে কুয়াশা ভেদ করে সূর্য ওঠলেও হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। ঘাসের ডগায় টলমল করছে শিশিরবিন্দু। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষজন কেউ চা বাগানে, কেউ পাথর তুলতে, কেউ কৃষিকাজে, আবার কেউ দিনমজুরির কাজে বের হতে দেখা গেছে।

চা ও পাথর শ্রমিকরা জানান, দুইদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। খুব ঠান্ডা লাগছে। ভোরে চা বাগানে পাতা তুলতে গেলে পাতা বরফের মতো লাগে। কষ্ট হলেও জীবিকার জন্য কাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে সর্দি-কাশিতেও ভুগছেন অনেকে।
দিনমজুর বশির ও হাফিজ উদ্দিন জানান, খুবই ঠান্ডা। সকালে কাজে যেতে খুবই কষ্ট হয়। কিন্তু কী করা যায়? পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজেই বের হতে হয়। দিনে যেমন তেমন, রাতের ঠান্ডা অনেক তীব্র। লেপ-কম্বল নিলেও ঠান্ডা কমানো যায়নি। দিনের বেলায় রোদে সামান্য গরম লাগলেও সে রোদ মিষ্টি উষ্ণতা দিচ্ছে।
গ্রামের নারীরা জানান, সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে। সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ে রাতে। রাত যত গভীর হয়, ততো ঠান্ডার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। রাতে ঘরের বিছানাপত্র, মেঝে, পানি ও আসবাবপত্রও বরফ হয়ে ওঠে। শীতের কারণে বাড়িতে শিশু ও বয়স্করা বিশেষভাবে কষ্ট পাচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, দুইদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে। এতে এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায়ও একই রকম তাপমাত্রা ছিল। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসকে দোয়েল/এমবি

