মানুষে মানুষে শত্রুতা হয়। কিন্তু গাছের সঙ্গে শত্রুতা! শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে প্রতিপক্ষের বাগানের বিভিন্ন উন্নত জাতের ফলজ গাছ কেটে আনুমানিক তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোক্তার হোসেন শনিবার (৬ ডিসেম্বর) আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা মোক্তার হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী মহিদুল শেখ ও জাহিদুল শেখের দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে মহিদুল শেখ ও জাহিদুল শেখের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধভাবে মোক্তার হোসেনের বাগানে প্রবেশ করে। তারা বাগানের আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, সফেদা, কুলসহ নানা ধরনের উন্নত জাতের ফলজ ও সবজির গাছগুলো কেটে নষ্ট করে দেয়। গাছ কাটার পাশাপাশি বাগানের চারপাশে লাগানো ইটের পিলারের সাথে সংযুক্ত নিরাপত্তামূলক জালও তারা খুলে নিয়ে যায়।
এদিকে গাছ কাটার খবর পেয়ে ভুক্তভোগী মোক্তার হোসেন বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী মোক্তার হোসেনের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার নিরুপায় হয়ে সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে। খবর পেয়ে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোক্তার হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্তদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহিদুল শেখ গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, মোক্তার হোসেন যে জায়গায় গাছ লাগিয়েছিলেন, সেটি তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বরং সরকারি রাস্তার অংশ।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজালাল আলম জানান, 'লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
মিয়া রাকিবুল/এনএ

