Logo

সারাদেশ

পৌষের হাড়কাঁপানো শীত শেষ অগ্রহায়নে

Icon

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৪

পৌষের হাড়কাঁপানো শীত শেষ অগ্রহায়নে

শীতের জেলা হিমকন্যা পঞ্চগড়। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বাড়ছে শীতের দাপট। ছবি : বাংলাদেশের খবর

শীতের জেলা হিমকন্যা পঞ্চগড়। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বাড়ছে শীতের দাপট। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। গত তিনদিন ধরে ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় পৌষের হাড়কাঁপানো শীত অনুভব করছে উত্তরের প্রান্তিক জনপদের মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন শীতদুর্ভোগে। শীতবস্ত্রের অভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অসহায় ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায়ও তাপমাত্রা ছিল একই। এ তাপমাত্রাই দেশে সর্বনিম্ন হিসেবে রেকর্ড হয়েছে এ অঞ্চলে। সকালে জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায় এ তথ্য।

কার্যালয়টি আরও জানায়, রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরেই বিরাজ করছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরে হালকা কুয়াশা থাকে। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়ালেও উত্তরীয় হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে জর্জরিত এ অঞ্চলের মানুষ। ভোর-সকালে তীব্র শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে যেতে কষ্ট পেলেও জীবিকার তাগিদে চা বাগানে, পাথর তুলতে, কৃষিকাজ কিংবা দিনমজুরের কাজে যেতে দেখা যায়।

পাথর শ্রমিকরা জানান, কয়েক দিন ধরেই ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলায় রোদ থাকায় শীত তেমন বোঝা না গেলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে। কাজে যেতে কষ্ট হলেও জীবিকার জন্য বাধ্য হয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে সর্দি-কাশিতেও ভুগছেন অনেকে। একই অবস্থা ভ্যানচালকদের। তাদের ভাষ্য, ঠান্ডার কারণে সহজে কেউ ভ্যানে উঠতে চায় না। এতে আয় কমে গিয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। দিনমজুরদের অবস্থাও একই।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে। সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার থেকেই ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা থাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে এ অঞ্চল। তাপমাত্রা আরও কমে গেলে এ মাসে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, হিমালয়কন্যা বিধৌত অঞ্চল হওয়ায় পঞ্চগড়ে শীতের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও লক্ষাধিক মানুষের জন্য শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

এসকে দোয়েল/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আবহাওয়া

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর