হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। পৌষ না আসতেই শেষ অগ্রহায়নে শীতের দাপটে কাঁপছে উত্তরের প্রান্তিক জনপদের মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন শীতদুর্ভোগে। শীতবস্ত্রের অভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অসহায় দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায়ও ছিল একই তাপমাত্রা। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকাল ৯টায়ও তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চারদিন ধরে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১০ ডিগ্রির ঘরে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা থাকে। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়ালেও উত্তরীয় হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে জর্জরিত এ অঞ্চলের মানুষ। ভোর-সকালে কনকনে ঠান্ডার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের কাজে যেতে কষ্ট হলেও জীবিকার তাগিদে চা-বাগান, পাথর তোলা, কৃষিকাজ বা দিনমজুরির কাজে যেতে দেখা যায়।

পাথর শ্রমিকরা বলছেন, কয়েকদিন ধরেই ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলায় রোদ থাকায় শীত বোঝা না গেলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। কাজে যেতে কষ্ট হলেও জীবিকার টানে কাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডায় অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। একই অভিযোগ ভ্যানচালকদেরও। তারা জানাচ্ছেন, ঠান্ডার কারণে সহজে কেউ ভ্যানে উঠতে চান না। এতে উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। দিনমজুরদের অবস্থাও একই।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত চারদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায়ও একই তাপমাত্রা ছিল। তাপমাত্রা কমতে থাকায় এ মাসে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, হিমালয়কন্যা-সংলগ্ন অঞ্চল হওয়ায় এ জেলায় শীতের মাত্রা বেশি। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় প্রায় ৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও লক্ষাধিক মানুষের জন্য শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

এসকে দোয়েল/এমবি