ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম (৪০) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডেমরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াছ চেয়ারম্যানের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভুট্টো চেয়ারম্যানের ছোট ভাই।
জানাগেছে ৫ আগস্টের পর থেকে ফখরুল রাজধানীর ডেমরায় বসবাস করেন। সেখানে ইলেকট্রিক ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। সর্বশেষ রোববার বিকালে বাড়িতে স্ত্রী-কন্যার সাথে কথা বলার পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে ডেমরা থানা পুলিশ তার মৃত্যুর খবরটি পরিবারকে জানায়। পুলিশের বরাত দিতে তার স্ত্রী ও বড় ভাই জানান, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মুখ, বুক ও পিঠে মারাত্মক থ্যাঁতলানো এবং জখম করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারীরা তাকে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে যায়।
নিহতের ভাই ভুট্টো চেয়ারম্যান বলেন, সে রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলনা। বাবা ও ভাই চেয়ারম্যান ছিলেন। দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে ফখরুলকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। নিহতের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ও তিন বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এমন পাষণ্ড হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে পরিবার।
চরদরবেশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজির আহম্মদ বেলাল বলেন, ‘শুধুমাত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও আওয়ামী পরিবারের সদস্য হওয়ায় ফখরুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।’
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফখরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ফেনী জেলা ইউনিটের সহ সভাপতি সাংবাদিক সাইফুল আলম হিরণ বলেন, ‘নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সুরতহালে মনে হয়েছে তার মৃত্যু বিষয়টি রহস্যজনক। তদন্তে জানা যাবে হত্যা নাকি অন্যকিছু।’
এম. এমরান পাটোয়ারী/এনএ

