Logo

সারাদেশ

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৬

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা

ফেনীর সোনাগাজীর ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে ধুঁকছে রোগীরা। তাদের প্রাপ্য স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোগীদের চাপ সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন।

চিকিৎসকসহ জনবল সংকট নিরসনে বারবার চিঠি চালাচালি করেও ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। প্রায় ৪ লাখ লোকের বসবাস এই উপজেলায়। উপকূলীয় উপজেলা হিসেবে স্বাস্থ্য সম্পর্কেও তেমন একটা সচেতন নয় এই জনপদের মানুষ। প্রতিদিন গড়ে আন্তঃবিভাগে ৭০-৮০ জন এবং বহির্বিভাগে ৪০০-৫০০ জন রোগী এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন।

হাসপাতালে ২৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৬ জন। মেডিকেল অফিসার সাতজনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ৩ জন। কনসালটেন্ট ১১জনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ৩ জন। মিডওয়াইফ ৯ জনের মধ্যে আছেন মাত্র ১জন। নার্স ২৫ জনের মধ্যে আছেন ১৯ জন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৬ জনের মধ্যে আছেন মাত্র ১ জন। আয়া ৩ টি পদে ৩ টিই শূন্য রয়েছে। ওয়ার্ড বয় ৬ জনের মধ্যে আছেন মাত্র ১ জন। নিরাপত্তাপ্রহরী ৩ জনের মধ্যে ৩জনই শূন্য।

২০১২ সালে ৩১ শয্যা থেকে উন্নীত হয়ে ৫০ শয্যা হাসপাতালে পরিণত করা হলেও হাসপাতালটি এখনো ৩১ শয্যার জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামে চলছে। ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে চালু হলেও এখন পর্যন্ত ৫০ শয্যার জনবল বা চিকিৎসা সরঞ্জাম মিলেনি। এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ বিকল হয়ে পড়ে আছে। 

৫০ শয্যার হাসপাতালে একজন তত্ত্বাবধায়ক, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট, শিশু ও গাইনি কনসালটেন্ট, মেডিক্যাল অফিসার, মেডিসিন, সহকারী সার্জারি ও ডেন্টাল সার্জন সহ ২৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু রয়েছেন মাত্র ৬ জন চিকিৎসক।

হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও বাহির থেকে বিভিন্ন চেম্বার বা ক্লিনিকের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন।  

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও এখনো সে তুলনায় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি। ফলে চিকিৎসা দেওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। বারবার চিঠি দিয়েও জনবল পাচ্ছি না।’

তিনি আরো জানান, ‘অপরদিকের হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ রেখে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় পুরাতন ভবনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। টিনের ঘরে জরুরি বিভাগ চালু করে অনেক কষ্টে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।’

এম. এমরান পাটোয়ারী/এনএ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর