Logo

সারাদেশ

বেগম রোকেয়া দিবস আজ

১৫ বছরেও পূর্ণ হয়নি বেগম রোকেয়ার দেহাবশেষ স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি

Icon

রাখিবুল হাসান, মিঠাপুকুর (রংপুর)

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৪২

১৫ বছরেও পূর্ণ হয়নি বেগম রোকেয়ার দেহাবশেষ স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আজ বেগম রোকেয়া দিবস। নারী শিক্ষার প্রসার, সমাজের কুসংস্কার ভাঙা এবং নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর পালিত হয় এই দিবস। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী এবং ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেগম রোকেয়া। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি পরিবারের অগোচরে বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি শেখেন। পরবর্তীতে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিবাহিত হন। স্বামীর উৎসাহ ও নিজের আগ্রহে তিনি নারী শিক্ষার প্রসার ঘটান।

বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে খ্যাত।

উল্লেখযোগ্য রচনা হলো ‘মতিচূর’, ‘সুলতানার স্বপ্ন’, ‘পদ্মরাগ’ ও ‘অবরোধ-বাসিনী’। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ জরিপে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন।

১৯৭৪ সাল থেকে মিঠাপুকুরবাসী এবং পায়রাবন্দের লোকজন বেগম রোকেয়া স্মরণে রোকেয়া দিবস পালন করে আসছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়।

২০০৯ সালে তার ভাতিজি রনজিনা সাবের দাবি তোলেন বেগম রোকেয়ার দেহাবশেষ কলকাতা থেকে ফিরিয়ে আনার। পরবর্তী জেলা প্রশাসকরা একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

নিজ জন্মভূমি পায়রাবন্দে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি রোকেয়ার স্বপ্ন। পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

করোনাকালীন সময় থেকে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অচলাবস্থায় ছিল বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র। তবে আজ এটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী জানান, বাংলা একাডেমির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূতকরণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। শিক্ষার্থীরা এখানে গবেষণা ও অধ্যয়ন করতে পারবেন।

১৯৯৭ সালের ২৮ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০১ সালে ৩ দশমিক ১৫ একর জমিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ উদ্বোধন করা হয়। সেখানে মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, সেলাই প্রশিক্ষণকেন্দ্র, কর্মকর্তাদের আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

তার পৈতৃক ৩৫০ বিঘা জমির উদ্ধারে এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বেগম রোকেয়ার পরিবার ও স্বজনরা দাবি করেন, জমিগুলো দীর্ঘদিন ধরে দখলদার ও প্রভাবশালীদের হাতে। হাইকোর্টে মামলা থাকলেও সরকারি সহযোগিতা না থাকায় কার্যক্রম প্রগতিশীল হয়নি।

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর