মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত আক্রমণে ১০ ডিসেম্বর মুক্ত হয় নড়াইল
কৃপা বিশ্বাস, নড়াইল
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:০৭
ছবি : বাংলাদেশের খবর
১০ ডিসেম্বর, নড়াইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নড়াইলকে শত্রুমুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। বিজয়ের সেই স্মৃতি আজও বয়ে বেড়ায় এ জেলার মানুষ।
নড়াইল মুক্ত দিবসের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ মতিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর বিকেল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নড়াইল শহরের পূর্বপাড়ের লস্করপুর, পংকবিলা ও আউড়িয়া এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় খড়রিয়া ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধারা নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের দক্ষিণে নিশিনাথতলা এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেওয়া রাজাকারদের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালান। এ যুদ্ধে বাগডাঙ্গা গ্রামের তরুণ মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান শহীদ হন।
পরদিন ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাংলোতে অবস্থানরত পাক সেনা ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। আত্মসমর্পণের আহ্বান না মানায় চারদিক থেকে হামলা চালানো হয়। কয়েকজন পাক মিলিশিয়া নিহত হন, কয়েকজনকে আটক করা হয়।
১০ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করলে স্বাধীনতাকামী মানুষ বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নড়াইল শহর।
স্বাধীনতা যুদ্ধে নড়াইলের পাঁচ সাহসী সন্তানের বীরত্ব সরকারি স্বীকৃতি পায়। তারা হলেন—বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ, বীর উত্তম মুজিবুর রহমান, বীর বিক্রম আফজাল হোসেন, বীর প্রতীক খোরশেদ আলম ও বীর প্রতীক মতিয়ার রহমান।
নড়াইল মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
এআরএস

