Logo

সারাদেশ

শেরপুরে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায়

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০০

শেরপুরে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায়

প্রায় ৩০ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. সিদ্দিকুর রহমানকে অবসর উপলক্ষে ছাদখোলা গাড়িতে রাজকীয় বিদায় দিয়েছেন ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের চরসাপমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ প্রধান শিক্ষক পুরো কর্মজীবনে একদিনও নেননি নৈমিত্তিক ছুটি। বিদ্যালয়কে আগলে রেখেছেন নিজের করে, আর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দেখেছেন নিজ সন্তানের মতো। তাই তার বিদায়ে গত মঙ্গলবার আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা মোহসীনা সোবহান।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী। স্থানীয় মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় মানপত্র পাঠ করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহদী মাসুদ। 

এ সময় লছমনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানী, ছনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ইসমাইল হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক মিয়া, নারী ইউপি সদস্য রূপালী বেগমসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান ১৯৯৫ সালে সদর উপজেলার ফটিয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তিনি বদলি হয়ে এ বিদ্যালয়ে আসেন। 

মো. সিদ্দিকুর রহমান তার বক্তৃতায় স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৯৯ সালে এই বিদ্যালয়ে যোগদানের সময় শিক্ষক ছিলেন মাত্র তিনজন, পাকা ভবনও ছিল না। তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের সন্তান জেনে পড়িয়েছি। ধীরে ধীরে বিদ্যালয়ের ভবন পাকা হয়েছে, শিক্ষার্থীরাও পেয়েছে উন্নত পরিবেশ। আমার অনেক শিক্ষার্থী সরকারি চাকরিসহ ভালো অবস্থানে আছে। সরকারি ছুটি ছাড়া কখনো নৈমিত্তিক ছুটি নেইনি। এই বিদ্যালয়ই আমার পরিবার। এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে সম্মান দিলেন- এর পর আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। 

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী বলেন, অনেকের ধারণা- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভালো পড়াশোনা হয় না। সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন সিদ্দিক স্যার। আমরা তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা মোহসীনা সোবহান বলেন, বিদায় বা অবসর নিয়মিত প্রক্রিয়া। সবাই এমন বিদায় পান না। কর্মজীবনে সত্যিই এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। এটি তার জন্য যেমন অনন্য অর্জন, আমাদের জন্যও গৌরবের।

বিকেপি/এনএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

শিক্ষক

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর