Logo

সারাদেশ

গর্তে পড়ে যাওয়া ২ বছরের শিশুটি ২১ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি

৩৫ ফিট পর্যন্ত যাওয়া হলেও সাজিদকে এখনো দেখা যায়নি

Icon

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৬

গর্তে পড়ে যাওয়া ২ বছরের শিশুটি ২১ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোরে ৩০–৩৫ ফুট গভীর পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশুটি গর্তে পড়ে যাওয়ার পর রাতভর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট টানা অভিযান চালিয়েও তাকে খুঁজে পায়নি। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকেও উদ্ধার অভিযান চলছিল।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মূল গর্তের পাশ থেকে কেটে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ৩৫ ফিট পর্যন্ত যাওয়া হলেও শিশুটিকে এখনো দেখা যায়নি। 

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুজ্জামান জানান, উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে। এখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় এক ব্যক্তি পানি আছে কিনা পরীক্ষা করতে গর্ত করেছিলেন। সেটি পরে ভরাট করা হলেও বর্ষায় মাটি দেবে গিয়ে আবার গর্ত তৈরি হয়। ওই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।

বুধবার ১টার দিকে শিশুটি পড়ে যাওয়ার পর প্রথমে স্থানীয়রা চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তানোর, রাজশাহী সদর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইউনিটগুলো অভিযান শুরু করে। একের পর এক এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রাতভর মাটি খোঁড়া হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশও উদ্ধারকাজে যোগ দেয়।

শিশুটির মা রুনা খাতুন বলেন, ‌‘মাটিতে আটকে যাওয়া ট্রলি দেখতে এসে আমার সন্তান কোল থেকে নেমে যায়। পরে কিছুটা হেঁটে গিয়ে গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে কাঁদতে শুরু করে। গর্তের মধ্য থেকে কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে। আমরা তাকে খুঁজছি। কিন্তু এত গভীর যে, নিচে দেখতে পাচ্ছি না।’

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, গর্ত কেটে পাশ দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। কাজটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হচ্ছে।

উদ্ধারস্থলে ভোর থেকেই শত শত মানুষের ভিড় দেখা গেছে, যা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেগ পেতে হচ্ছে। টানা দীর্ঘ সময় চেষ্টা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত শিশুটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান বিরতি ছাড়াই চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম গতকাল রাতে জানান, তারা বেলা আড়াইটার দিকে এই ঘটনার খবর পান। দ্রুতই উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। তারা যাওয়ার আগে স্থানীয় লোকজন প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করার কারণে কিছু মাটি ভেতরে পড়েছিল। এতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। তারা এসেই পাইপের মাধ্যমে গর্তে অক্সিজেন দেওয়া শুরু করেছেন।

এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর