থানচিতে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ ইটভাটা, পরিবেশ বিপন্ন
সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২৩
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলায় পরিবেশ বিধিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। পার্বত্যাঞ্চলে ইটভাটা পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও থানচি সদরের হেডম্যান পাড়া স্কুলের পাশেই এবিএম নামের একটি ইটভাটা সক্রিয় আছে। পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ, বনজ কাঠ পোড়ানো এবং অপরিকল্পিতভাবে ইট তৈরির কারণে পাহাড়ি পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, থানচি সদর উপজেলার ডিম পাহাড় সড়কের পাশে হেডম্যান পাড়া স্কুলের কাছাকাছি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান সুজনের ইটভাটাটি গড়ে উঠেছে।
ইটভাটায় সরকারি বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এবং পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফলে বনভূমি উজাড় ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। ইটভাটায় শিশু ও মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বল্পমজুরিতে কাজে লাগানোর অভিযোগও রয়েছে।
ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় স্কুলের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্লাসরুমে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারছে না, শিক্ষার্থীদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ইটবোঝাই ট্রাকের চলাচলে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধোঁয়ার কারণে শিশু ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট, কাশি ও চোখ জ্বালাপোড়ার সমস্যা বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলের শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা অবিলম্বে ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, থানচিতে ইটভাটার বিষয়টি আমরা জেনেছি। খুব শিগগিরই অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘বান্দরবানে অবৈধ কোনো ইটভাটা পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। থানচিতে ইটভাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কথা বলে দ্রুত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
এআরএস

