আলফাডাঙ্গায় শিশু জায়ান হত্যা মামলায় আসামি ইউনুচ রিমান্ড শেষে কারাগারে
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:০৭
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা (৪৫) চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর ৯নং আমলা আদালতের বিচারক আনারুল আসিফ তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। চার দিনের রিমান্ড শেষে ইউনুচ মোল্যাকে আদালতে হাজির করে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সুজন বিশ্বাস তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ইউনুচ মোল্যাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য উল্লেখ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে জানান, ‘আসামি জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, নিহত জায়ানের গলায় ব্যবহৃত রশি টাবনী বাজারের মফিজ খানের দোকান থেকে কর্মচারী আকাশের (২০) কাছ থেকে ক্রয় করেছেন।
তবে আসামি জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক রকম অসংলগ্ন কথা বলেছেন। তার তথ্য যাচাই করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে কারাগারে আটক রাখা জরুরি।’
গত ২০ নভেম্বর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে প্রবাসী পলাশ মোল্যার শিশুপুত্র জায়ান রহমানের মরদেহ বাড়ির পাশের ঝোপে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে শিশুর গলার রশিটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে ওঠে।
পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘটনার আগে প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা টাবনী বাজার থেকে একই রকম একটি রশি কিনেছিলেন। এই সূত্র ধরে ইউনুচ মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রশি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, ‘আসামির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
মিয়া রাকিবুল/এআরএস

