অগ্রহায়নের বিদায়ের আগেই পৌষের শীতে কাঁপছে উত্তরের পঞ্চগড়। ছবি : বাংলাদেশের খবর
অগ্রহায়নের বিদায়ের আগেই পৌষের শীতে কাঁপছে উত্তরের পঞ্চগড়। ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে উত্তরের এ জেলায়। বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাসে শীতের প্রকোপে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। দিনভর সূর্যের রোদে উষ্ণতা থাকলেও সন্ধ্যা হতে ভোর পর্যন্ত হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
ভোর-সকালে হালকা কুয়াশা মোড়ানো প্রকৃতি দেখা গেলেও ঝলমলে রোদ নিয়ে পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠতে দেখা গেছে। তবে শতভাগ বাতাসের আর্দ্রতা ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০-১২ কিলোমিটার থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভব করছেন এ অঞ্চলের মানুষ। ভোর সকালে শীতের তীব্রতা থাকলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের কাজে যেতে দেখা গেছে।

চা ও পাথরশ্রমিক, ভ্যানচালকসহ স্থানীয়রা বলছেন, এক সপ্তাহ ধরেই বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলায় রোদ থাকায় শীত বোঝা না গেলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীত লাগে। কাজে যেতে কষ্ট হলেও জীবিকার কারণে কাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন অনেকে। শীতের কারণে নিম্নবিত্তদের উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে। দিনমজুরদের অবস্থাও একই।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ৫ দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
এসকে দোয়েল/এমবি

