কুষ্টিয়ার মিরপুরে দাবি আদায়ে রেলপথ অবরোধ, ট্রেন চলাচল ব্যাহত
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৫০
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্টেশন মাস্টারের পদায়ন ও স্টেশন সংস্কারসহ সাত দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় মিরপুর উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এ সময় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ও রাজশাহী থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। এর ফলে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে সাত দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
মিরপুর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি নজরুল করিম বলেন, ‘প্রায় দেড়শ বছর পুরোনো এই স্টেশনটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বন্ধ হওয়ার পথে। গত তিন বছর ধরে এখানে স্টেশন মাস্টার নেই। দীর্ঘদিন সংস্কারও করা হয়নি। বারবার আলোচনা করেও কোনো ফল হয়নি, তাই আমরা আন্দোলনে নামি।’
তিনি দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মনোনীত কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল গফুর। এছাড়াও উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি রহমত আলী রব্বান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আক্তার মামুন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নজরুল করিমসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধের কারণে খুলনা-রাজশাহী-ঢাকাগামী দুটি ট্রেন আটকে যায়, যার ফলে ট্রেন চলাচলের সময়সূচি বিপর্যয় ঘটে এবং হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।
আন্দোলনকারীরা জানান, শতবর্ষী মিরপুর রেলস্টেশনটি চালুর পর থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার করা হয়নি। অবকাঠামোর বেহাল দশা ও স্টেশন মাস্টারের অভাবসহ নানা সংকটে যাত্রীসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন, স্টেশন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ১৫ লাখ মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
দুই ঘণ্টা আন্দোলন চলাকালে রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোসা. হাসিনা খাতুন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে চুয়াডাঙ্গার এএসএম কামরুল হাসানকে স্টেশন মাস্টার হিসেবে পদায়নসহ সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আকরামুজজামান আরিফ/এআরএস

