নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পারমল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে মৃধা গ্রুপের হামলায় ঠাকুর গ্রুপের অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পরদিন পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে পারমল্লিকপুর গ্রামের মিজু কাজীর বাড়ির সামনে হিসাম কাজীর চায়ের দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, পারমল্লিকপুর গ্রামে মৃধা গ্রুপ ও ঠাকুর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার মারামারি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সালিশ বৈঠক ও করা হয়।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে পারমল্লিকপুর গ্রামের মিজু কাজীর বাড়ির সামনে হিসাম কাজীর চায়ের দোকানে মৃধা গ্রুপের কয়েকজন সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঠাকুর গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত হন পারমল্লিকপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ কাজীর ছেলে হিসাম কাজী (৩৫), মৃত রায়হান উদ্দিন মোল্যার ছেলে শরীফুল মোল্যা (৩৬) এবং সাহিদ কাজীর ছেলে বুলু কাজী (৪৫)।
এদিকে ওই ঘটনার জেরে রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঠাকুর গ্রুপের লোকজন পারমল্লিকপুর গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে টপি শেখ, চঞ্চল শেখ, ইসরাফিল শেখ, কালাম শেখ, আলিম কাজী, লাবলু মোল্লা, বাবুল মোল্যা, নজরুল শেখ, রইস কাজী, মোস্তাক শেখ, তারিকুল ফকির, হাফিজ শেখ ও জাকির মৃধার বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মৃধা গ্রুপ। এমনকি গোয়াল থেকে গরু নিয়ে গেছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কৃপা বিশ্বাস/এনএ

