মনোনয়নপত্র কেনায় সাক্কুর দুঃখ প্রকাশ, ‘ইয়াসিন মনোনয়ন পেলে’ স্বতন্ত্র লড়ার ঘোষণা
আনোয়ার হোসাইন, কুমিল্লা
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৩৫
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু নিজের মনোনয়নপত্র কেনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে যদি বিএনপি নেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তবে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি বিভিন্নভাবে শুনছিলাম ইয়াছিন ভাইয়ের সমর্থকরা বলছেন তারা আজ বা কাল নমিনেশন আনছেন। এসব শুনে আমি ধৈর্য হারিয়ে আবেগের বশে রাগ করে মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। আসলে মনোনয়নপত্র কেনাটা আমার ভুল হয়েছে। আমি এর জন্য দুঃখিত। এই মনোনয়নপত্র আমি জমা দেব না এবং নির্বাচনও করব না।’
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে সাক্কু একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেন, ‘দল যদি ইয়াসিন সাহেবকে মনোনয়ন দেয়, তবে আমি অবশ্যই ইলেকশন করব। তিনি সবসময় আমার কাজে বাধা দিয়েছেন এবং আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ইয়াসিন সাহেব ছাড়া দল অন্য যাকে খুশি মনোনয়ন দিক, আমি তার পক্ষে কাজ করব।’
সাক্কু আরও জানান, তিনি বিএনপির মহাসচিবের কাছে কুমিল্লা সদর আসনে প্রবীণ নেতা মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মহাসচিব সাহেবকে বলেছিলাম, মনির ভাইকে মনোনয়ন দিলে আমি নিজে নির্বাচন করার মতো করে ওনাকে বিজয়ী করে আনব। দল আমার কথা রেখেছে, মনির ভাই মনোনয়ন পেয়েছেন এবং আমি প্রথম থেকেই ওনার সাথে কাজ করছি।’
বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কার হওয়া এই নেতা তার পদ ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি দিয়েছিলাম। আমি মহাসচিবকে বলেছি, দল তো এখন ক্ষমতায় নেই যে আমাকে মেয়র বানিয়ে দেবে। ভবিষ্যতে দল ক্ষমতায় এলে তখন দেখা যাবে। তবে এ বিষয়ে আমি আর নতুন করে কোনো চিঠি দেব না।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ মে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মনিরুল হক সাক্কুকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইয়াছিন সমর্থকদের কর্মকাণ্ডকে ‘উদ্ভট ও বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দেন।
এমএইচএস

