নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৬
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চর দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ছবি : বাংলাদেশের খবর
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাগলার চরে ‘চর দখল’কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে সামছুদ্দিন ও আলা উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সামছুদ্দিন ওরফে কোপা সামছু গ্রুপের সামছুদ্দিন, তার ছেলে মোবারক হোসেন, জুম্মা ডাকাত ও আলা উদ্দিন গ্রুপের আলাউদ্দিন। এর মধ্যে আলাউদ্দিনের মরদেহ ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জাগলার চরে বর্তমানে কয়েক শত ভূমিহীন পরিবার বসবাস করছে। চরের অর্ধেক জমি খাস এবং অর্ধেক ব্যক্তি মালিকানা বা বয়ার সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার হরণি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিক ও ফরিদ কমান্ডারের নেতৃত্বে সামছুদ্দিন চরের জমি দখল করে প্রতি একর ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকায় ভূমিহীনদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। তবে সম্প্রতি বিক্রির টাকা মুশফিক ও ফরিদ কমান্ডারকে দিচ্ছে না। এর জের ধরে মঙ্গলবার ভোরে মুশফিক ও ফরিদের হয়ে আলাউদ্দিন, শীর্ষ ডাকাত কাউয়া কামাল ও নিজাম মেম্বারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী চর দখলে যায়।
একপর্যায়ে চরে থাকা সামছুদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি শুরু হয়। এতে আলাউদ্দিনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলিতে টিকতে না পেরে সামছুদ্দিনের বেশিরভাগ লোক পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে সামছুদ্দিন আলাউদ্দিনকে গুলি করেন। পরে আলাউদ্দিনের লোকজন সামছুদ্দিন, তার ছেলে মোবারক, তার কর্মী জুম্মাসহ কয়েকজনকে গুলি, কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এতে সামছুদ্দিন, তার ছেলে মোবারক ও কর্মী জুম্মাসহ ৫ জন নিহত হন।
বিকালে আলাউদ্দিনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এ ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনা ভোরে হলেও পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিকাল সাড়ে ৪টায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম জানান, দুর্গম এলাকায় ঘটনার কারণে তারা বিকালে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য কোস্টগার্ড নদীতে অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া সামছুদ্দিন, আলা উদ্দিনসহ ৫ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
আজাদুল ইসলাম দ্বীপ আজাদ/আইএইচ/এআরএস/এমবি

