Logo

সারাদেশ

বগুড়ায় ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

Icon

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৬

বগুড়ায় ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

টানা দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসের প্রভাবে বগুড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। এর আগের দিন মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত দুই দিন ধরে পুরো জেলা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও বিকেলের পর তা আর দেখা যায়নি।

উত্তরের হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে কনকনে শীতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষজনকে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষরা।

বগুড়া শহরের সড়কগুলোতে কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় যান চলাচলেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের ফুটপাত ও বিভিন্ন মার্কেটে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী গরম পোশাক কিনছেন।

রিকশাচালক ফজলু মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ করেই শীত আর কুয়াশা বেড়ে গেছে। সকালে রাস্তায় কিছুই দেখা যায় না। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। যাত্রীও অনেক কমে গেছে।’

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহিদুজ্জামান সরকার জানান, উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সকাল থেকেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে এবং ঝিরিঝিরি কুয়াশা পড়ছে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

জুয়েল হাসান/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আবহাওয়া

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর