৩ বার প্রাক্কলন পাঠিয়েও অনুমোদন পায়নি ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন প্রকল্প
এম. এমরান পাটোয়ারী, ফেনী
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৩
গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
ফেনীতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণের প্রকল্প প্রস্তাবনা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে তিনবার, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে অনুমোদন না পাওয়ায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন।
আইনজীবীরা বিভিন্ন সময় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিলেও প্রকল্পটি এগোয়নি। জানা গেছে, বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর ২০১২ সালে ফেনীতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত সংলগ্ন স্থানে পৌনে দুই একর জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৬ সালের জুনে অধিগ্রহণ বাবদ টাকা জমির মালিকদের দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর ২ লাখ ২৮ হাজার বর্গফুটের ১৩ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ জুন গণপূর্ত অধিদপ্তর ৮৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এর আগেও তিন দফা প্রাক্কলন পাঠানো হয়।
ফেনী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম সাকিবুর রহমান বলেন, ‘চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’
ভবনটি দীর্ঘদিন নির্মাণ না হওয়ায় এজলাস সংকটের মুখে ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচার কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বর্তমানে জুডিসিয়াল বিভাগে ৯ জন বিচারক আছেন। চীফ ও অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাস ছাড়া বাকি ৭টি এজলাসে ম্যাজিস্ট্রেটরা পর্যায়ক্রমে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। এক বিচারক কার্যক্রম শেষ করলে আরেকজন অপেক্ষা করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্পটি থমকে আছে। একটি এজলাসে কখনও একাধিক বিচারক বসেন, ফলে বিচার কার্যক্রম দীর্ঘ হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলায় এজলাস থাকায় এক ভবন থেকে আরেক ভবনে ছোটাছুটি করতে হয়।’
পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দিন খান জানান, জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী অর্থবছরের শুরুতে দরপত্র আহ্বানের কথা রয়েছে। ভবন নির্মাণ হলে এজলাস সংকট কাটবে এবং বিচারিক কার্যক্রম গতি পাবে।
এআরএস

