লালমনিরহাট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু, গাঁজা ও স্কাপ সিরাপ জব্দ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪১
লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গরু, গাঁজা ও স্কাপ সিরাপ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর আওতাধীন বিভিন্ন সীমান্ত বিওপিতে পৃথক তিনটি অভিযানে এসব অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানায়, চলমান চোরাচালান ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে আদিতমারী উপজেলার নামাটারী এলাকায় দিঘলটারী বিওপির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় ভারতীয় সীমান্ত দিক থেকে গরুসহ কয়েকজন চোরাকারবারি বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা গরু ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
এছাড়া একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটে ফুলবাড়ী উপজেলার গজেরকুটি এলাকায় বালারহাট বিওপির টহলদল চোরাকারবারিদের গতিবিধি টের পেয়ে চ্যালেঞ্জ জানায়। এ সময় চোরাকারবারিরা সঙ্গে থাকা মালামাল ফেলে সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, রাত আনুমানিক ১১টা ৫০ মিনিটে নাগেশ্বরী উপজেলার গোয়ালটারী এলাকায় রামখানা বিওপির টহলদল এক চোরাকারবারিকে চ্যালেঞ্জ করলে সে মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৪৫ বোতল ভারতীয় স্কাপ সিরাপ জব্দ করা হয়।
১৫ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত দুটি ভারতীয় গরুর আনুমানিক সিজার মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গাঁজার মূল্য ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা এবং স্কাপ সিরাপের মূল্য ১৮ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জব্দকৃত মালামালের মোট সিজার মূল্য ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা। উদ্ধারকৃত মালামাল বিধি অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার আওতায় নেওয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি বলেন, ‘দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।’
তিনি চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখার আশ্বাস দেন।
বিজিবির এই সফল অভিযান সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাহেবুল ইসলাম টিটুল/এনএ

