ভোলার চরফ্যাসনে বিএনপির ১০ কর্মী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চরফ্যাসন উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে ভোলা-৪ (চরফ্যাসন-মনপুরা) আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন। এ সময় জামায়াত নেতারা নতুন যোগদানকারীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

জামায়াতে যোগদানকারী ব্যক্তিরা হলেন, চরফ্যাসন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহে আলম হাওলাদার, তাইয়্যেব হাওলাদার, জাহাঙ্গীর, মফিজুর রহমান, কামাল হোসেন, তুহিন, রিপন আম্মান, আবু তাহের ও পারভেজ হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাসন উপজেলা জামায়াতের যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, পৌর যুব জামায়াতের সভাপতি নুরনবী আল মামুন, পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল, চরফ্যাসন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাওলানা জয়নাল আবেদীন ভুঁইয়া, জামায়াতের পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমীন এবং চরফ্যাসন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. হারুন অর রশিদসহ দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

ভোলা-৪ আসনের জামায়াত প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামী আদর্শভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন যোগদানকারীরা দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও আদর্শ বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।

এদিকে, এই যোগদান নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। চরফ্যাসন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়েরুল ইসলাম সোহেল দাবি করেন, যারা যোগ দিয়েছেন তারা বিএনপির নেতা-কর্মী বা সমর্থক নন। তারা পূর্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে ৫ তারিখের পর থেকে তাদের বিএনপির লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিন টিপু বলেন, তিনি বর্তমানে এলাকায় নেই। এলাকায় ফিরে বিষয়টি যাচাই করে দেখবেন তারা বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না।

এম ফাহিম/এআরএস