তিনি আরো বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। প্রশাসন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হলে সেন্টারভিত্তিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় লোহাগাড়ার একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের হলরুমে লোহাগাড়ায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাজমুল মোস্তফা আমিন অভিযোগ করেন, বর্তমানে একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করছে, যা সাধারণ জনগণকে শঙ্কিত করছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে লোহাগাড়ায় একটি দল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের—যারা নির্বাচনে প্রিসাইডিং ও সহকারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে—তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, কীভাবে নির্দিষ্ট প্রার্থীকে জয়ী করা যায়।
তিনি দাবি করেন, লোহাগাড়ায় যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের যেন অন্য উপজেলা থেকে আনা হয়।
নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনগণ তাদের পবিত্র আমানত ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক এলাকা উপহার দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে যানজটমুক্ত বটতলী শহর, বটতলীতে পাবলিক টয়লেট স্থাপন, বাসটার্মিনাল নির্মাণ, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত সড়কের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে না পারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা।
তিনি সাংবাদিকদের পাশে থেকে ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া এবং দেশকে এগিয়ে নিতে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফৌজুল কবির ফজলু। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসহাব উদ্দীন চৌধুরী এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম সেলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী ও সালাহ উদ্দীন সোহেল। এ সময় লোহাগাড়ায় কর্মরত সব সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ/এনএ

