নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার এক যুবক সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে একাধিক বিয়ে করে অর্ধকোটি টাকার বেশি অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের অভিযোগে বগুড়ার নন্দীগ্রামে জনতার হাতে আটক হয়েছেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম সাগর। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাদরন্ড গ্রামের মৃত যোগেন্দ্র নাথের ছেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তিনি একে একে তিনটি বিয়ে করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ফাল্গুন মাসে সাগর বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার কলেজপাড়ার এক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করেন। নিজেকে বগুড়ার মাঝিরা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সেনাসদস্য দাবি করে ওই পরিবার থেকে তিনি নগদ সাড়ে আট লাখ টাকা এবং ১১ ভরি স্বর্ণালংকার গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি রাজশাহীতে জমি কেনার অজুহাতে শ্বশুরবাড়ির কাছে আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন সাগর। এতে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। এরই মধ্যে নওগাঁ থেকে এক নারী এসে নিজেকে সাগরের স্ত্রী দাবি করলে তার প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরও টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে সাগরকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে আনা হয়। সেখানে আসামাত্রই স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নেয়।
সাগরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, রাজশাহী, নওগাঁ ও নন্দীগ্রাম এলাকায় তার তিনজন স্ত্রী রয়েছে। এর মধ্যে নন্দীগ্রামের স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে ঘর নির্মাণ করেছেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ‘অভিযুক্ত সাগর বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয়পত্র ও পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এম এ রাজ্জাক/এনএ

