ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিএনপির এক নেতার পক্ষে শাড়ি বিতরণ করতে গিয়ে দুই ব্যক্তিকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের নিতাই চন্দ্র বর্মণ ও মো. আবুল কালাম। তারা বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোর্শেদ আলমের পক্ষে শাড়ি বিতরণ করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে পাড়াগাঁও গ্রামে শাড়ি বিতরণের সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নিতাই ও কালামকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান।

এরপর ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’-এর ৪ (১) বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসাইন তাঁদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ-১১ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন ফখর উদ্দিন আহমেদ। তবে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি তফসিল ঘোষণার আগেই উপজেলাজুড়ে প্রায় দেড় লাখ মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেছেন।

এদিকে, নির্বাচনে অংশ নিতে মোর্শেদ আলমের পক্ষে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলেও জানা গেছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রোববার সকালে মোর্শেদ আলমের পক্ষে শাড়ি বিতরণের সময় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকেরা ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। পরে তাঁরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়ে নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানান এবং ছয় ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে থাকার আবেদন করেন।

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন জানান, এক প্রার্থীর দুই সমর্থক শাড়ি বিতরণের সময় আটক হন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তাঁদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এআরএস