ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট ৩৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১০ জন, ফেনী-২ আসনে ১৪ জন এবং ফেনী-৩ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। 

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মনিরা হক এ তথ্য জানান।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া–ফুলগাজী–পরশুরাম) আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দুপুরে তার পক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এই আসনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে কাজী গোলাম কিবরিয়া, জামায়াতে ইসলাম থেকে এস এম কামাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টি থেকে মোতাহের হোসেন চৌধুরী, গণমুক্তি জোট থেকে মাহবুব মোর্শেদ মজুমদার, খেলাফত মজলিস থেকে মোহাম্মদ নাজমুল আলম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন থেকে আনোয়ার উল্ল্যাহ ভূঞা, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মো. ফিরোজ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজাম উদ্দিন ভূঞা।

ফেনী-২ আসনে মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ একরামুল হক ভূঁঞা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে সামসুদ্দিন মজুমদার, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) বাসদ থেকে জসিম উদ্দিন, খেলাফত মজলিস থেকে মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন থেকে মোহাম্মদ আবুল হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ থেকে মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞা, আমজনতার দল থেকে সাইফুল করিম মজুমদার, ইনসানিয়াত বিপ্লব থেকে তাহেরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. হারুনুর রশিদ ভূঞা।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, কানাডা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী এবং মো. ইসমাইল।

অন্যদিকে ফেনী-৩ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু, ইনসানিয়াত বিপ্লব থেকে মো. হাসান আহমদ, জাতীয় পার্টি থেকে মো. আবু সুফিয়ান, জামায়াতে ইসলাম থেকে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. সাইফ উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন থেকে মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মোহাম্মদ আলী, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মো. আবু নাছের এবং সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) থেকে আবদুল মালেক।

এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খালেদ মাহমুদ এবং জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হক রিপন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর আগে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৮ জন এবং ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন প্রার্থীসহ মোট ৪৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।

জেলার তিনটি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৩০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯২৪ জন। তিনটি আসনে প্রবাসী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫১ জন।

ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮১ হাজার ১৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১২১টি।

ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩২ হাজার ৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৬৮৩ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৯ হাজার ৩৭০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৩ জন। এই আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৪৬টি।

ফেনী-৩ (সোনাগাজী ও দাগনভূঞা) আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩ হাজার ৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮০০ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ২৮৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৬১টি।

তিনটি আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২৮টি।