-678a7eaf8bab7.jpg)
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের ভাটপাড়া এবং সিধাতৈল গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তারা রাতে গাছ কাটে এবং সবগুলি গাছই জীবিত ছিল। গাছ কাটার বিষয়ে ইউএনও বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি তারা। অভিযোগ উঠেছে, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের ভাটপাড়া এবং সিধাতৈল গ্রামের খোকন বর্মন, গিরীশ বর্মন, পরিমল বর্মন, প্রদীপ বর্মন, দিনেশ বর্মন, বাবলু বর্মনসহ ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি এ কাজে যুক্ত।
জানা গেছে, অভিযুক্তরা গত ৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে, ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তার পাশে থাকা আনুমানিক ৮-১০টি সরকারি গাছ কাটেন। পরদিন রাতের দিকে, ইউপি ভূমি অফিসের নায়েব ও গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা গাছগুলো দেখতে পান।
জানা যায়, সড়কের পাশে থাকা এসব গাছ ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন। অনুমতি ছাড়া এগুলি কাটা অবৈধ। তবে অভিযুক্তরা গাছ কাটার জন্য কোনো প্রকার অনুমতি গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পরিমল বর্মন বলেন , ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য দু-তিনটা মরা গাছ কাটা হয়েছে। গাছকাটার বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত প্রদীপ বর্মন বলেন, হরিবাসর করার জন্য গ্রামের ছেলেরা চারটা গাছ কেটেছে। তিনটা বড় আর একটা চিকন গাছ কাটা হয়েছে।
গাছকাটার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, সেদিন রাতে ইউএনও স্যার আমাকে ফোন করে গাছকাটার বিষয়ে জানান । এরপর আমি ওই ওয়ার্ডের মেম্বার এবং গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বলি। পরে তারা ঘটনার সত্যতা আমাকে নিশ্চিত করেছে। গাছকাটার আগে অভিযুক্তরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, তারা দু-তিনটা মরা গাছ কেটেছে। জানতে পেরে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। পরে কী হয়েছে বলতে পারবো না?
গাছকাটার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি জানার সাথে সাথে সেদিন রাতেই ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। এছাড়া গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গাছগুলো জব্দ করতে এবং থানা ও বন বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিতেও বলেছি।
এদিকে গাছকাটার দু-সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এখনও উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ইউএনও বলা সত্ত্বেও কাটা গাছগুলো এখনো জব্দ করতে পারেনি ইউপি সদস্য। এছাড়া লিখিত অভিযোগের ক্ষেত্রেও কোনো পদক্ষেপ নেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের।
এমএইচএস