কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির এক গ্রুপের প্রতিবাদ মিছিলে অপর গ্রুপের ককটেল নিক্ষেপ, গুলি ও হামলা চালিয়ে ১০ নেতাকর্মীকে আহত করার দাবি করেন নাঙ্গলকোট পৌরসভা বিএনপি সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন জসিম। এতে নাঙ্গলকোটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলার প্রতিবাদে নাঙ্গলকোট বাজারে বিক্ষোভ মিছিলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বিক্ষোভ মিছিলটি ব্যাংক চত্বরে আসলে চর্তুদিক থেকে ককটেল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষ হামলা করে। হামলাকারীরা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া গ্রুপের নেতাকর্মী বলে দাবি পৌর বিএনপি সাবেক এ নেতার।

এ ছাড়া নুরুল আমিন জসিম সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মুকুল ও যুবদল নেতা তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় বাজারে থাকা সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে, ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

নাঙ্গলকোট পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন জসিম বলেন, আমাদের নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আমরা নাঙ্গলকোট পুরাতন হাসপাতাল থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে নাঙ্গলকোট বাজারের মধ্যখানে আসলে গফুর ভূঁইয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর ককটেল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। এতে আমাদের অন্তত ৮-১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমার ছেলে ওমর সাদিকেও সেখানে আহত করা হয়েছে, তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত অন্যান্যরা হলেন- উপজেলার বাইয়ারা গ্রামের ছাত্রদল নেতা নোমান, পৌরসভা ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান, ঢালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আকরাম, ফারাবি, অন্যদের নাম এখনো জানা যায়নি। আহতরা নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মুকুল বলেন, আমার এখন প্রোগ্রাম আছে, পরে কথা বলবো।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।

বিএইচ/