ভাটারায় তামান্না হত্যার রহস্য ১৬ ঘণ্টায় উদঘাটন, স্বামী গ্রেপ্তার

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৬:১৭
-686b9ec38d987.jpg)
রাজধানীর ভাটারায় গৃহবধূ তামান্না আক্তারকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের তদন্তে মাত্র ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকারী শনাক্ত হয়েছে। ঘটনার দুই দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে ঘাতক স্বামী কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভাটারা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ৪ জুলাই রাতে ভাটারা থানাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী কামরুজ্জামান (৩০) স্ত্রী তামান্না আক্তারকে (২২) গলা টিপে ও বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পরপরই তিনি পালিয়ে যান।
পরদিন ৫ জুলাই সকালে ফ্ল্যাটের ভেতর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্তে কিছুটা সময় লাগলেও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দ্রুত নিশ্চিত হয়, তরুণীর নাম তামান্না আক্তার। এরপর তার মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার মাত্র ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ নিশ্চিত হয়, হত্যার পেছনে রয়েছে স্বামী কামরুজ্জামান। এরপরই তার অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালায় পুলিশ। রোববার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সোনামুড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে কামরুজ্জামান স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ড নিছক তাৎক্ষণিক কোনো কলহ থেকে নয়, এর পেছনে থাকতে পারে পূর্বপরিকল্পিত উদ্দেশ্য। কারণ, দম্পতি ৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে নতুন ফ্ল্যাটে ওঠেন এবং মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে হত্যাকাণ্ড।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধ নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে শরীরে কোনো বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পুলিশ বলছে, ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠার সময় তারা প্রকৃত পরিচয় গোপন করেছিল কি না এবং এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনএমএম/এমএইচএস