Logo

অপরাধ

সাবেক এমপির বাসায় চাঁদা দাবি, ‘বাগছাস’ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬

উদ্ধার ২ কোটি টাকার চেক, নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৩:০৪

সাবেক এমপির বাসায় চাঁদা দাবি, ‘বাগছাস’ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬

জানে আলম অপু। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে এক সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে একটি চক্র। ঘটনার তদন্তে উঠে আসে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)-এর কেন্দ্রীয় নেতার সম্পৃক্ততা। এ ঘটনায় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) ওয়ারী এলাকা থেকে অপুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এই মামলায় এর আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। তারা হলেন: আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্ত।

চারটি চেক ও নগদ টাকা উদ্ধার
ডিএমপির ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর নাখালপাড়ার একটি বাসা থেকে চারটি চেক উদ্ধার করা হয়। এসব চেকে উল্লেখ করা মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এছাড়া অভিযুক্ত রিয়াদের বাড্ডার ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ দুই লাখ ৯৮ হাজার টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদা আদায়ের পর অভিযুক্তরা এ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।

চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার
জানা গেছে, চক্রের অন্যতম সদস্য রিয়াদ ছিলেন বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ছাত্র রাজনীতির আড়ালে সন্ত্রাস
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাত্র সংগঠনের নামে গড়ে ওঠা কিছু সংগঠন এখন সরাসরি চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে জড়িত। এসব সংগঠন নিয়মিত ভয়ভীতি, হুমকি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হয়ে পড়েছে, যা উদ্বেগজনক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, যারা রাজনীতির নামে অপরাধ করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সমাজ অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তৌহিদুল হক মনে করেন, দৃশ্যমান কোনো দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে মব তৈরি করে অর্থ আদায়ের প্রবণতা বেড়েছে।

তার মতে, যেসব অভিযোগ আসছে বা লোকমুখে যা শোনা যাচ্ছে– তার বেশিরভাগ নিয়েই শক্ত অবস্থান দেখা যায় না। ফলে মুখে যাই বলুক এর পেছনে বা ভেতরে দুর্বৃত্তায়নের সুযোগ কেউ কেউ নিচ্ছেন।

ঘটনার নেপথ্যে থাকা মদদদাতাদেরও খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিকরা। তারা বলেন, অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, আইনের হাত যেন সবার দরজায় পৌঁছায়— এটাই এখন সময়ের দাবি।

ভুক্তভোগীরাও চাচ্ছেন, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

চাঁদাবাজি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর