গাজীপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেপ্তার, তদন্তে নতুন মোড়

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৩৫

সিআইডির এলআইসি ইউনিটের দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ও জেলা সিআইডি। গত ৮ অক্টোবর রাতে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার তালতলা রোড এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম জয়নাল (৪৩)। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল গাজীপুরের সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এসব তথ্য জানান।
অভিযানটি পরিচালনা করেন গাজীপুর মেট্রো ও জেলা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাহেদ মিয়ার নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষ দল।
সিআইডি জানিয়েছে, গত ২ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় সংঘটিত হয় এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা। সেদিন গভীর রাতে মো. আব্দুল সোবহান ও তার পরিবারের বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত। তারা ধারালো রামদা, চাপাতি, কিরিচ, ছোরা, লোহার রড ও কাটার নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে রাখে এবং প্রায় ৩০ মিনিট ধরে লুটপাট চালায়।
ডাকাতরা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনসহ প্রায় ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭৫ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় তারা গৃহকর্তা ও ভাড়াটিয়াদের শারীরিকভাবে আঘাত করে।
ঘটনার পরপরই গাজীপুর সদর থানায় মামলা (নং-০৪(১০)২০২৫) দায়ের করা হয় এবং সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে।
সিআইডি জানিয়েছে, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিআইডি গাজীপুর জেলা ও মেট্রো ইউনিট, এলআইসি ইউনিটের সহযোগিতায় ৪ অক্টোবর ডিএমপির সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়া এলাকা থেকে ডাকাত দলের সর্দার মনিরকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন, ৬টি ককটেল, ১১টি টর্চলাইট ও একটি কাটার উদ্ধার করা হয়।
তদন্তে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত মনির ও জয়নালসহ তাদের সহযোগী দলটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে আসছিল।
বর্তমানে গ্রেপ্তারকৃত জয়নালকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদনসহ পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিআইডি জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অন্যান্য সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
সিআইডির মিডিয়া শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান বলেন, এলআইসি ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিক অভিযানে আমরা ইতোমধ্যে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। এ চক্রের মূলহোতা ও অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এনএমএম/এমবি