Logo

অর্থনীতি

সোনার দোকানে পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি চান ব্যবসায়ীরা

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১৭:৩১

সোনার দোকানে পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি চান ব্যবসায়ীরা

সারাদেশে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ওপর চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দোকানে বৈধ পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ৮ মাসে ১৭টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

সংগঠনটি সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, ‘জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। ডাকাতির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আমরা লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের বৈধ অস্ত্র ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি।’

সাম্প্রতিক চুরি ও ডাকাতির ঘটনা

  • ৩ জানুয়ারি : সীমান্ত সম্ভার মার্কেটের ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স থেকে ১৫৯ ভরি সোনা লুট।
  • ৯ জানুয়ারি : সিলেটের নুরানী জুয়েলার্স থেকে ২৫০ ভরি সোনা চুরি।
  • ১২ জানুয়ারি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঐশী জুয়েলার্স থেকে ৬০ ভরি সোনা ও নগদ ২ লাখ টাকা লুট।
  • ২০ ফেব্রুয়ারি : ফরিদপুরের পুস্পিতা জুয়েলার্স থেকে ১৪ ভরি সোনা ও ৩.২৫ লাখ টাকা ডাকাতি।
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি : ঢাকার বনশ্রীতে ২০০ ভরি সোনা ও ২ লাখ টাকা লুট, ব্যবসায়ীকে গুলি করে আহত করা হয়।
  • ৯ মার্চ : আশুলিয়ায় দিলীপ কুমারকে কুপিয়ে হত্যা করে ১৫-২০ ভরি সোনা লুট।

২০২৪ সালের উল্লেখযোগ্য ডাকাতি

  • ৭ সেপ্টেম্বর : ঢাকার রামপুরার মনিকা জুয়েলার্স ও সুলতানা জুয়েলার্স থেকে ১০৯৫ ভরি সোনা, ৪৫০ ভরি রূপা ও ১৩ লাখ টাকা লুট।
  • ৮ নভেম্বর : লক্ষ্মীপুরে হিরা লাল দেবনাথকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও দোকানের মালামাল লুট।
  • ৯ নভেম্বর : মিরপুরের স্পার্কেল জুয়েলার্স ও আবান গোল্ড থেকে সোয়া ৩ কোটি টাকার সোনার অলংকার চুরি।
  • ২৮ অক্টোবর : খুলনার দৌলতপুরে দত্ত জুয়েলার্স থেকে ৫ ভরি সোনা ও নগদ ২ লাখ টাকা ডাকাতি।

এদিকে, বাজুস নেতারা চুরি ও ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনিটরিং জোরদার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বৈধ অস্ত্রের অনুমতি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।

  • এএইচএস/এমজে

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জুয়েলারি ব্যবসায়ী চুরি ডাকাতি ছিনতাই হামলা অস্ত্র পিস্তল ব্যবহার অনুমতি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর