১ লাখ হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ এসএমই ফাউন্ডেশন ও ডিএনসিসির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৪৩

এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য রাজধানীতে ‘ঢাকা হাট’ স্থাপন এবং ঢাকা মহানগরীর এক লাখ হকারকে পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে একসাথে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি যৌথভাবে ঢাকার আগারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ‘হলিডে মার্কেট’ চালু এবং নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালনায় সম্মত হয়েছে দুই সংস্থা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) গুলশানে ডিএনসিসির দপ্তরে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এসব বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এনডিসি, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, উপব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার, ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আব্দুস সালাম সরদার এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
সভায় ভারতের ‘দিল্লি হাট’-এর আদলে ‘ঢাকা হাট’ গড়ে তোলা, ডিএনসিসির বিভিন্ন স্থাপনায় এসএমই পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন এবং উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজীকরণে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেয় এসএমই ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধেকই অনানুষ্ঠানিক খাতে। এসব খাতের উদ্যোক্তাদের বৈধ কাঠামোর মধ্যে আনতে ট্রেড লাইসেন্স সহজীকরণে ডিএনসিসির সহায়তা প্রয়োজন।
এ সময় ডিএনসিসির প্রশাসক জানান, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন উদ্যোক্তারা এখন অনলাইনে সহজেই ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন ও নবায়ন করতে পারছেন এবং অনলাইনে সনদও পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা মোট শিল্পের ৯৯ শতাংশ। এসএমই খাতে কর্মসংস্থানের হার প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং এই খাতে কর্মরত জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটির বেশি।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমই ফাউন্ডেশন জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২, এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-২০৩০ বাস্তবায়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ উদ্যোক্তা এ ফাউন্ডেশনের সেবা পেয়েছেন, যাদের ৬০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা।
দুই প্রতিষ্ঠানের এই যৌথ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও হকারদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি নগর অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।