ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের টপকে যাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:০০
-680cd8ef81fe1.jpg)
চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক আমদানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেছে। এই দুই মাসে ইইউতে পোশাক আমদানি বেড়েছে ১৭.৮১ শতাংশ অর্থাৎ ১৬.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পরিমাণের হিসাবে এই বৃদ্ধির হার ২৮.৬৬ শতাংশ হলেও, গড় দাম কমেছে ৮.৪৪ শতাংশ—যা বিশ্ববাজারে মূল্যচাপের একটি প্রতিফলন।
এই পটভূমিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩৬.৯৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইইউতে রপ্তানি করেছে ৩.৬৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। পরিমাণগত দিক থেকে এ প্রবৃদ্ধি আরও বেশি—৩৯.০২ শতাংশ। তবে গড় দাম কমেছে ১.৪৬ শতাংশ, যা মুনাফার ওপর চাপে রাখছে দেশীয় রপ্তানিকারকদের।
এই অর্জনের পেছনে ছিল মূল্য সংযোজন করা পোশাক উৎপাদন, ইইউতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা অনুসরণ এবং শ্রমিক-মালিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ। এসব কারণে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে বাংলাদেশকে ঘিরে।
প্রতিযোগীদের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের পাশাপাশি চীন, ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াও ভালো করেছে।
চীনের ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৪.৫৪ বিলিয়ন ডলার। ভারত ৮৬৫ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৭১১ মিলিয়ন ডলার, কম্বোডিয়া ৭৭৫ মিলিয়ন ডলার, ভিয়েতনাম ১৬.৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রপ্তানি করেছে ৭৫৯ মিলিয়ন ডলার। তবে তুরস্ক ব্যতিক্রম। দেশটি ৩.৬৪ শতাংশ রপ্তানি হ্রাসে পৌঁছেছে ১.৬১ বিলিয়ন ডলারে।
বিজিএমইএ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ পণ্যের গড় দাম কমলেও বাংলাদেশ যেভাবে পরিমাণগত রপ্তানিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তা রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার প্রতীক। তবে ভবিষ্যতে মুনাফা ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন আরও মূল্য সংযোজন, প্রযুক্তি বিনিয়োগ এবং নতুন বাজারে প্রবেশের কৌশল।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরজুড়ে ক্রমাগত কাজের অর্ডার বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের রপ্তানির ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিমালা আরোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এটা যেন আমাদের ব্যবসার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সরকারকে সে জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
এএইচএস/এমজে/এমএইচএস