Logo

অর্থনীতি

বেনারসি পল্লীর জন্য সরকারি প্লট বরাদ্দ চান উদ্যোক্তারা

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ১৬:৩০

বেনারসি পল্লীর জন্য সরকারি প্লট বরাদ্দ চান উদ্যোক্তারা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বেনারসি ক্লাস্টারের আধুনিকায়ন ও পণ্যের বহুমুখীকরণে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা আধুনিক তাঁত মেশিন ও ডিজিটাল ডিজাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং খরচ হ্রাসের সুফল পাচ্ছেন। তবে তাঁতশিল্প রক্ষায় সহায়তা আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আলাদা বেনারসি পল্লীর জন্য সরকারি প্লট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীর মিরপুর বেনারসি ক্লাস্টারে ১০ দিনব্যাপী পণ্য বৈচিত্র্যকরণ প্রশিক্ষণের সমাপনী, পণ্য প্রদর্শনী ও ক্লাস্টার পরিদর্শন অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান উদ্যোক্তারা। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য দেন- উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘বেনারসি শিল্পের টেকসই উন্নয়নে সরকার সব ধরনের বাধা দূর করতে বদ্ধপরিকর। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে সরকার সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান জানান, ‘বেনারসি পণ্যকে দেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে ফাউন্ডেশন বিভিন্ন এসএমই মেলা, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করছে। এর পাশাপাশি মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারণে কাজ চলছে।’

উদ্যোক্তারা জানান, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে একটি বেনারসি শাড়ি তৈরিতে ১০ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগে, অথচ ভারত থেকে পলিস্টার সুতায় তৈরি নিম্নমানের বেনারসি নামে পণ্য অবৈধ পথে দেশে আসছে। এতে স্থানীয় শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। 

তাঁরা জানান, ২০০৩ সালে ভাষানটেকে পৃথক বেনারসি পল্লীর জন্য তাঁত বোর্ডে আবেদন করা হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে দ্রুত প্লট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।

বর্তমানে মিরপুর বেনারসি ক্লাস্টারে প্রায় ১৫০-২০০ তাঁত মালিক এবং সহস্রাধিক শ্রমিক কর্মরত আছেন। কাতান, জামদানি, শুঁয়া, ব্রাইডাল বেনারসি, রেশমি ও জরিদার শাড়ির পাশাপাশি বেনারসি কাপড় দিয়ে বটুয়া, পার্স, হিজাবসহ নানা আনুষঙ্গিক পণ্য তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশে ৭৮ লাখের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা মোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯৯%-এর বেশি। কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে। শ্রমনির্ভর ও স্বল্প পুঁজিনির্ভর এই খাত জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২, এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ২০৩০) বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

এএইচএস/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর