Logo

অর্থনীতি

৬ষ্ঠ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক ইস্যুতে রেকর্ড চাহিদা

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১৯:৫৪

৬ষ্ঠ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক ইস্যুতে রেকর্ড চাহিদা

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী বিভাগের উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প (আরডিআইআরডাব্লিউএসপি)’র তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত ‘আরডিআইআরডাব্লিউএসপি সোশিও‑ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সুকুক’ শীর্ষক ষষ্ঠ সরকার বিনিয়োগ সুকুক ইস্যু নিলামে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।

সোমবার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। 

নির্ধারিত ২ হাজার কোটি টাকার ৭ বছর মেয়াদি ইজারা সুকুকের বিপরীতে শরিয়াহ-ভিত্তিক ও কনভেনশনাল ব্যাংকের ইসলামিক ব্রাঞ্চ, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ব্যক্তি ইনভেস্টররা মোট ৮,৩৪৭.৬০ কোটি টাকার বিড জমা করেছেন। যা আনুপাতিক হারে প্রায় ৪.১৭ গুণ বেশি––ইস্যুতে দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার প্রতিচ্ছবি।

ব্যক্তি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড পর্যায়ে মাত্র ১৩৯টি আবেদনে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিড এসেছে, যা ইস্যুকৃত পরিমাণের ১৭.৫০ শতাংশ। এটি পূর্ববর্তী পাঁচ ইস্যুর (মোট ২২,০০০ কোটি টাকার) ব্যক্তিগত অংশগ্রহণের মাত্র ১.৪০ শতাংশ—পূর্ণ বিপরীত জনপ্রিয়তা নির্দেশ করে। পাশাপাশি কনভেনশনাল ব্যাংকের ইসলামিক ব্রাঞ্চগুলো তাদের বরাদ্দের প্রায় ১৮ গুণ বিড জমা দিয়েছে, যা ব্যাংকগুলোর তরলতা বজায় রাখতে স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রিজার্ভ (এসএলআর) এবং ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি (আইবিএলএফ) হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ষষ্ঠ সুকুক ইস্যুতে ইনভেস্টরদের অত্যধিক উৎসাহ প্রমাণ করলো—সুকুক এখন শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, সাধারণ ইনভেস্টর, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ সব পর্যায়ের মানুষের বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা বৃদ্ধিতে সুকুকের ভূমিকা দিন দিন সুস্পষ্ট হচ্ছে।’

সরকার এ পর্যন্ত পাঁচটি সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ২২ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এসব তহবিল দিয়ে দেশজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পের তহবিল নিশ্চিত হয়েছে। ষষ্ঠ ইস্যুতে সংগৃহীত তহবিল সরাসরি আরডিআইআরডাব্লিউএসপি প্রকল্পে কাজে লাগবে, যার ফলে রাজশাহী বিভাগের গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে।

ইনভেস্টররা সেকেন্ডারি মার্কেটে সুকুক ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবে, যা আগামীদিনে বাজারের তরলতা ও স্বচ্ছতা আরও বাড়াবে। এর ফলে শরীয়াহ-ভিত্তিক আর্থিক খাতের বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ বিস্তৃত হবে, এবং দেশীয় পুঁজি বাজারের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী সময়ে আরও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সুকুক ইস্যু বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।

এএইচএস/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর