Logo

অর্থনীতি

রপ্তানিতে স্থবিরতা, নীতিমালার পুনর্বিবেচনা চায় ডিসিসিআই

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১৯:৪১

রপ্তানিতে স্থবিরতা, নীতিমালার পুনর্বিবেচনা চায় ডিসিসিআই

দেশের রপ্তানি খাত স্থবির হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে ব্যবসায়বান্ধব ও সমন্বিত নীতিমালার দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংস্থাটি বলেছে, বর্তমান বৈশ্বিক মন্দা ও দেশীয় নীতিগত জটিলতার কারণে উদ্যোক্তারা রপ্তানিমুখী উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

শনিবার (২৪ মে) ডিসিসিআই-এর আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস কনফারেন্স ২০২৫’-এ সংগঠনের সভাপতি আশফাকুল ইসলাম এই আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং নীতিনির্ধারণে বেসরকারি খাতকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান নীতিমালায় অনেক অসঙ্গতি ও দ্ব্যর্থতা রয়েছে, যা রপ্তানিকারকদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি জানান, ডিসিসিআই একাধিকবার সরকারকে একটি ‘ইনক্লুসিভ এক্সপোর্ট পলিসি’ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে এসএমই, স্টার্টআপ, ও উদীয়মান শিল্পখাতগুলোর স্বার্থ রক্ষা পাবে।

ডিসিসিআই বলেছে, রপ্তানি খাতের স্থবিরতার অন্যতম কারণ হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অনিশ্চয়তা, ডলারের সংকট এবং ব্যাংকঋণে উচ্চ সুদের হার। এ অবস্থায় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতা কমে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত দুই অর্থবছরে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এ অবস্থায় কার্যকর নীতিগত পরিবর্তন ছাড়া পরিস্থিতির উন্নয়ন অসম্ভব।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, “বর্তমান বিশ্ববাজার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এখন আর ‘এক দেশ এক নীতি’ দিয়ে চলা যাবে না। রপ্তানিতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং প্রতিটি খাতের জন্য পৃথক ও সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন।”

সংগঠনটি সরকারকে ট্যাক্স সুবিধা, প্রণোদনা ও অবকাঠামোগত সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানায়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদ ও শিল্পপতিরা বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য নীতিগত স্থিতিশীলতা ও সুনির্দিষ্ট ভিশন থাকা জরুরি। এক্ষেত্রে সরকার, ব্যবসায়ী ও নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয়মূলক উদ্যোগই হতে পারে উত্তরণের পথ।

এএইচএস/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর