Logo

অর্থনীতি

সিএসএমই খাতের জন্য রোডম্যাপ নেই, বাজেটে হতাশ ঢাকা চেম্বার

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ২০:১৭

সিএসএমই খাতের জন্য রোডম্যাপ নেই, বাজেটে হতাশ ঢাকা চেম্বার

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএসএমই) খাতের জন্য কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। 

সোমবার (২ জুন) বাজেট-পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ মন্তব্য করে।

সংগঠনের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, যখন আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বিভিন্ন কর অব্যাহতি সীমিত হচ্ছে, তখন সিএসএমই খাতের জন্য নির্দিষ্ট রোডম্যাপ না থাকাটা হতাশাজনক। এতে এই খাতের উদ্যোক্তারা পিছিয়ে পড়তে পারেন।

বাজেট বিশ্লেষণে ডিসিসিআই আরও জানায়, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো কৌশল না থাকাও বড় উদ্বেগের জায়গা। সংগঠনের মতে, করজাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল।

সংগঠনটি জানায়, আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে টার্নওভার করের হার বাড়ানো মধ্যবিত্ত ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানোও ব্যক্তি শ্রেণির জন্য নেতিবাচক।

তবে বাজেটের কিছু ইতিবাচক দিকও তুলে ধরে ডিসিসিআই। এর মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট রিটার্ন অটোমেশন, শিল্প কাঁচামালের আগাম কর কমানো, এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি এবং অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংগঠনের সভাপতি বলেন, উন্নয়ন ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিচালন ব্যয় কমাতে হবে। উৎপাদনমুখী খাত ও অবকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

তিনি আরও বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ভারতের সঙ্গে অশুল্ক বাধা এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের শর্ত পূরণের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাই প্রয়োজন বাস্তবমুখী ও সমন্বিত পদক্ষেপ।

ডিসিসিআই মনে করে, শুধু রাজস্ব আদায়ের অঙ্ক কষলেই হবে না, বরং সিএসএমই খাতসহ প্রান্তিক ও উদ্যোক্তাভিত্তিক অর্থনীতিকে সামনে রেখে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

এএইচএস/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর