
গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
সদ্য ঘোষিত জাতীয় বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনবে।
বিশেষ করে কর ছাড় সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোর ফলে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীরা সরাসরি উপকৃত হবেন বলে মনে করছে সংস্থাটি।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের বাজেটে যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানি নির্ধারিত ডিভিডেন্ড দেয় এবং কর্পোরেট শৃঙ্খলা বজায় রাখে, তাদের জন্য করহার কমানোর যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক। এটি বাজারে তালিকাভুক্তির প্রবণতা বাড়াবে এবং কোম্পানিগুলোকে স্বচ্ছতা ও সুশাসনের দিকে আগ্রহী করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সে ছাড়ের প্রস্তাব এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে কর সুবিধা চালু রাখা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবে।’
বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় এসব ইতিবাচক প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করতে যে আলোচনার মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা হয়েছে, তার জন্য ডিএসই'র পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
ডিএসই আরও জানিয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য বাজেটে যেসব নীতিগত দিকনির্দেশনা এসেছে, সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও টেকসই পুঁজিবাজার নির্মাণ সম্ভব।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি দিকনির্দেশনা ও সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে পুঁজিবাজারকে ঘিরে আস্থার নতুন অধ্যায় সূচিত হচ্ছে।’
ডিএসই মনে করে, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে তারা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকেরাও মনে করছেন, এবার বাজেটে পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত কর সুবিধা ও নীতিগত সহায়তা বাস্তবায়িত হলে এর ইতিবাচক প্রভাব বিনিয়োগ পরিবেশে দৃশ্যমান হবে।
এএইচএস/এমআই