গরম মসলার বাজারে স্বস্তি, কাঁচা মসলার দামও কম

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১৫:৪৬
-683ec463e2b6b.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
তিন দিন পরই ইদুল আজহা। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বসেছে পশুর হাট। হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। কোরবানির পশুর হাটের সাথে অনুষঙ্গ হয়ে সমানতালে জমে উঠেছে গরম মসলার বাজার। রাজধানীর শ্যামবাজার, কাপ্তান বাজার, চকবাজার, কাওরান বাজারের মত বড় পাইকারি বাজারগুলোর মসলার দোকানে অনেকে ভিড় করছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর মসলার বাজারে দামে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় গরম মসলার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় সময়ের সাথে বাড়ছে। বাজারগুলোর বিভিন্ন দোকানগুলোতে দেখা যায়- এলাচ ৪,১০০ টাকা, দারুচিনি ৩৮০ টাকা, লবঙ্গ ১,২০০ টাকা, জিরা ৫০০ টাকা, জয়ত্রি ২,৬০০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১,৬০০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১,৪০০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ টাকা, কাঠবাদাম ১,২০০ টাকা, কাজু বাদাম ১,৭০০ টাকা, গুড়া মরিচ ৩৬০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে মসলা ভেদে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
অন্যদিকে শুকনো গরম মসলার বাজার ছাড়াও কাঁচা মসলার দামও অন্য বছরগুলোর তুলনায় হাতের নাগালে রয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে যা গত বছর এ সময় ছিল ৮০ টাকা কেজি। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি যা গত বছর এ সময়ে ছিল ২২০ টাকা কেজি। এছাড়াও আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি যা গত বছর এ সময়ে ছিল ২৪০ টাকা।
মসলার দাম কিছুটা কম হওয়ায় ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। রাজধানীর চকবাজারে কোরবানি উপলক্ষে মসলা কিনতে এসেছেন আজিজুল হক। তিনি বলেন, মসলার দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু কম। তবে মসলার বাজারে একই মসলা কয়েকটি মানের থাকে। একদম ভালো মসলা কিনতে হলে দাম কিছুটা বেশি দিয়ে কিনতে হবে।
কাপ্তান বাজার থেকে বিভিন্ন প্রকার মসলা কিনে বাসায় ফিরছেন রাইসুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ বছর পেঁয়াজ ও রসুনের দাম গত বছরের থেকে কম। যতটুকু প্রয়োজন নিয়েছি। আমার কাছে এবারের ঈদবাজার স্থিতিশীল মনে হয়েছে।
একই বাজারে দীর্ঘদিন মসলার ব্যবসা করছেন ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, আমাদের অনেক মসলা কেনা দামের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসা করলে এমন বাস্তবতা মেনেই করতে হবে। এবারের বাজারে মসলার দাম কিছুটা কমেছে। আমাদের আগের বেশি দামে কেনা মসলাগুলো কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঈদ যত সামনে আসছে ক্রেতা বাড়ছে আশা করি আগামী দুই দিনে মসলার বাজারে বেচাকেনা আরও বাড়বে।
মসলার বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চকবাজার মসলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, এ বছর মসলার দাম কম থাকার প্রধান কারণ পুরোনো সিন্ডিকেট নেই। বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের আমদানিকারকরা মসলা আমদানি করেছে। কোরবানি ঈদের তিন মাস আগে থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে মসলা সারাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে গেছে। পর্যাপ্ত মসলা মজুদ থাকায় বাজারে কোনো সংকট নেই।
এসআইবি/এমএইচএস