বাজেট প্রতিক্রিয়া
ই-কমার্সে ১৫% ভ্যাট উদীয়মান উদ্যোক্তাদের জন্য গুরুতর আঘাত : বিসিআই

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ২০:১৭

গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
ই-কমার্স খাতে বিক্রির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। সংস্থাটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) একে বিশেষ করে এসএমই ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ‘গুরুতর আঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় বাজেট ২০২৫–২৬ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই উদ্বেগ জানান।
বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এই বাজেটে রাজস্ব আহরণকেই মূল লক্ষ্য ধরা হয়েছে। কিন্তু করজাল বাড়ানোর কোনো বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নেই। বরং করপোরেট ও ব্যক্তিখাতের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল বাজেট তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির যে ঘোষণা বাজেটে রয়েছে। তবে বাস্তবে তা অর্জন অত্যন্ত কঠিন হবে।’
বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কাঁচামালের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বাড়বে, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে। কটন সুতা ও ম্যান-মেইড ফাইবারে মূসক কেজিতে ৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হয়েছে। এতে দেশীয় টেক্সটাইল খাত ক্ষতির মুখে পড়বে।’
স্টিল ও সিমেন্ট খাতের ওপর কর বৃদ্ধিকেও আবাসন ও নির্মাণ খাতের জন্য ‘চাপ সৃষ্টিকারী’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে টার্নওভার কর ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। এতে এসএমই ও সিএমএসএমই খাতের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিসিআই সভাপতি।
তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২৫ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসএমই খাতের ফরমালাইজেশন ও ডিজিটাল ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এ জন্য মাননীয় অর্থ উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিসিআই সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা যেন সঠিক ও পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়ন হয় এবং বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নিবিড় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হলো- প্রস্তাবিত বাজেটে খাত ভিত্তিক বরাদ্দকৃত অর্থ, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি যেন যথাযথভাবে ও পূর্ণমাত্রায় ব্যবহৃত হয়। বাজেটের বাস্তবায়নকে যেন নিবিড় কমপ্লায়েন্স এর মধ্যে নিয়ে আসা হয়। কারণ, বাজেট হলো কিন্তু প্রয়োজনের সময় অর্থ ব্যয় করা হলো না বা অর্থ পাওয়া গেল না- তাহলে এর সুফল অর্থনীতি ও জনগন পাবে না।’
এএইচএস/এইচকে