আর মাত্র দুই দিন পর ঈদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজেদের সাধ্যমতো কোরবানি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে সারাদেশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। একই সঙ্গে কোরবানি করার সরঞ্জাম বিক্রির দোকানগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা। অনেকে পশু কেনার পর ভিড় করছেন এসব দোকানে। চাহিদা অনুযায়ী দা, ছুরি, চাপাতি, বটির মত প্রয়োজনীয় কোরবানি সরঞ্জাম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানি সরঞ্জাম বিক্রির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানি সরঞ্জামের দাম কিছুটা বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর কাপ্তান বাজারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, মাঝারি সাইজের দা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। বড় সাইজের দা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়। চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটার ছোট-বড় ছুরি ১৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বটি সাইজ ভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওজনভেদে চাপাতি ৬০০ থেকে ১,২০০ টাকায় এবং গরু জবাইয়ের জন্য তৈরি বিশেষ ধরনের লম্বা ছুরি ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আমদানি করা চাইনিজ ছুরি-চাপাতির কদর রয়েছে বাজারে। প্রকার ও সাইজ ভেদে চাইনিজ ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ও বড় সাইজ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের কোরবানি সরঞ্জামের দাম গত বছরের তুলনায় প্রকার ও সাইজ ভেদে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কাপ্তান বাজার থেকে কোরবানি সরঞ্জাম কিনেছেন মাহিন সর্দার। তিনি বলেন, কোরবানি করার জন্য ছুরি ও চাপাতি কিনেছি। দাম কিছুটা বেশি মনে হয়েছে। বছরে একবারই এসব কেনা হয়। তাই বেশি দামাদামি করিনি।

রাজধানীর নবাবপুর রোডের বিল্লাল ট্রেডিং দীর্ঘদিন দেশীয় বাজারে কোরবানি সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। বিল্লাল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ হুদা বলেন, লোহা ও স্টিলের দাম বেড়েছে। এখন আগের মত কারিগরও পাওয়া যায় না। তাছাড়া কয়লা ও জ্বালানি তেলের দামও বেশি। তাই ছুরি, চাপাতি, দা এসবের দাম কিছুটা বেশি। আর আমদানি করা ছুরি, চাপাতির দাম অনেক আগেই বেড়েছে। কোরবানি উপলক্ষে দাম বাড়ানো হয়নি।

এসআইবি/এমএইচএস