বিগত ১০ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ দরে চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১৮:১৬

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত ১০ বছরের মধ্যে দেশে এবার সর্বোচ্চ দরে চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ ও জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সক্ষমতা তৈরির ফলেই, এই দর নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়া আড়ত নাটোরের চকবৈদ্যনাথে জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার এ বছর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেওয়ার পাশাপাশি মাদ্রাসা ও এতিমখানাতে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করেছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো, এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত চামড়া লবণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হলে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হবে।’
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে বাজারে চামড়া বিক্রি করা হলে, চামড়ার বেশি মূল্য পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, চামড়ার গুণগত মান নিশ্চিত করতে, এ সংক্রান্ত নীতিমালা সন্নিবেশিত করে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। মসজিদে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে খুতবাতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে এ বছর চামড়া কেনাবেচায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিসিক কর্তৃক তিন ধরনের লবণের নমুনা ট্যানারি মালিকদের প্রদান করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সাড়ে সাত লাখ মণ লবণ কিনেছে সরকার। এসব লবণ চামড়া সংরক্ষণে মাদ্রাসা ও এতিমখানাতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মাদ্রাসা পর্যায়ে যেসব সমস্যা হয়েছে তা পরবর্তী সময়ে সংশোধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরকার নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা কম দামে ছাগলের চামড়া বিক্রি রোধে আগামীতে সরকার সংশোধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এ বছরের শিক্ষার ফলাফল থেকে আগামী বছর আরো বেশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় যেসব কাজ করছি. সেই প্রচেষ্টার মধ্যে কোনো ঘাটতি নেই। সকলের সহযোগিতায় চামড়া ব্যবসার ক্ষেত্রে যে সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে, আগামী বছরে তার আরও বেশি সুফল পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু আমদানির ক্ষেত্রেই নয় রপ্তানির ক্ষেত্রেও নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে চামড়ার বাজারকে বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে চাই।
চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি সায়েদার খান ও সাধারণ সম্পাদক হালিম উদ্দিন মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার মো. আমজাদ হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবুল হায়াত ও নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখতার জাহান সাথী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও নিয়োজিত উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় সরকারি লবণের প্রণোদনাপ্রাপ্ত একটি মাদ্রাসার প্রাপ্ত চামড়া সংরক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ডিআর/বিএইচ