
ছবি : সংগৃহীত
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল-এই চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটিইএক্সএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে দেশটি বিশ্বব্যাপী থেকে মোট ২৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।
এই আমদানির মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এসেছে ২ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ (সুনির্দিষ্টভাবে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ) বেশি। টাকার অঙ্কে যেমন প্রবৃদ্ধি, তেমনি পরিমাণেও (পিস অনুযায়ী) বাংলাদেশ ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে শীর্ষে রয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) ওটিইএক্সএ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্যের কথা জানিয়েছেন বিজিএমইএ।
ওটিইএক্সএ প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত,পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও চীন পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এরমধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক নীতিমালা আরোপের ঘোষণার পর থেকে শীতল স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।
অন্যান্য দেশের অবস্থানও বেশ শক্তিশালী :
ভারত: ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ২০ দশমিক ৬৩ শতাংশ পিস বৃদ্ধির তথ্য মিলেছে।
পাকিস্তান: ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ পিস বৃদ্ধির নজির।
ভিয়েতনাম: ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ বৃদ্ধি এবং পিস অনুযায়ী ১২ দশমিক ০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
চীন: মাত্র ০ দশমিক ৬৬ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি এবং ১ দশমিক ৮০ শতাংশ পিস বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে ইউনিট প্রাইস বা প্রতি পিস পোশাকের গড় মূল্য বৃদ্ধির দিক থেকে একমাত্র ভিয়েতনাম (৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ) এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের ইউনিট প্রাইস প্রায় অপরিবর্তিত (মাত্র ০ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি), অথচ ভারতের (-০.২৭%), চীনের (-১.১২%) এবং পাকিস্তানের (-৩.৬৩%) ইউনিট প্রাইস কমেছে।
বিজিএমইএএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট মহিউদ্দিন রুবেল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য বৃদ্ধির এ ধারা ইতিবাচক হলেও, গড় ইউনিট দামে স্থবিরতা বা পতন উদ্বেগজনক। বিশেষ করে যখন কাঁচামালের দাম বাড়ছে এবং শ্রমিক মজুরি পুনর্নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলমান, তখন ইউনিট প্রাইসে ভাটা দেশের রপ্তানিকারকদের জন্য চাপ তৈরি করতে পারে।
বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার এই সময়ে ভিয়েতনাম কেবল পণ্য রপ্তানি বাড়িয়েই নয়, প্রতি ইউনিট পণ্যের দামও বাড়াতে সক্ষম হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে।
এএইচএস/এমআই