Logo

অর্থনীতি

সিলন চেম্বারের সাথে ডিসিসিআই’র বাণিজ্য আলোচনা সভা

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৬:৩২

সিলন চেম্বারের সাথে ডিসিসিআই’র বাণিজ্য আলোচনা সভা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও সিলন চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা সভা।

মঙ্গলবার ( ১৭ জুন) কলম্বোর হিল্টন রেসিডেন্স হোটেলে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলংকার শিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী সুনীল হন্দুন্নেত্তি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। দ্রুত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘লজিস্টিকস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আইটি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন খাতে শ্রীলংকার উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। অপরদিকে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্যসহ নানা খাতে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে আগ্রহী হতে পারে শ্রীলঙ্কা।’

সিলন চেম্বারের চেয়ারম্যান ডুমিন্ডা হুলানগামুয়া বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান প্রকৃত সম্ভাবনার প্রতিফলন ঘটায় না। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এখনই সময়।’

তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা পরিবেশের প্রশংসা করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শ্রীলংকার পর্যটন ও লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি মন্ত্রী সুনীল হন্দুন্নেত্তি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ শুধু বাণিজ্য নয়, বরং আঞ্চলিক অগ্রগতির জন্যও অপরিহার্য।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে শ্রীলঙ্কা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রীলংকায় টেক্সটাইল, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ ও ডিজিটাল সেবায় বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা।’

তিনি আরও জানান, “শ্রীলংকায় লজিস্টিক উন্নয়ন, নন-ট্যারিফ বাধা হ্রাস এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার কাজ করছে।” পাশাপাশি বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যকার কার্যকর সংযোগ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শ্রীলংকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কা হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাক্কোদি এবং শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি ড. আসাঙ্কা রত্নায়েক।

হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা উদ্যমী ও উদ্যোগী, তারা শ্রীলংকার উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মিলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারবেন।’

ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে তরুণ ও দক্ষ জনশক্তি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করছে।’

এদিন ডিসিসিআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শ্রীলংকার ৯০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে ২০০টির বেশি ‘বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি)’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্যোক্তারা পারস্পরিক তথ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় ডিসিসিআই ও সিলন চেম্বারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। তাসকীন আহমেদ ও ডুমিন্ডা হুলানগামুয়া নিজ নিজ চেম্বারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এছাড়া, সফরকালে ডিসিসিআই প্রতিনিধিদল শ্রীলংকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী অরুণ হেমাচন্দ্রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরাও সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এএইচএস/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর