বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে ৪ অগ্রাধিকার : বিডা প্রধান

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৯:৪০
-6856b663357ad.jpg)
বিডা এবং বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে চারটি অগ্রাধিকার কার্যক্রমে জোর দিচ্ছে সরকার। এগুলো হলো—উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন বিনিয়োগ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের সমস্যার সমাধান এবং বড় বিনিয়োগের একটি শক্তিশালী পাইপলাইন তৈরি।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন হলেও, আমরা বিনিয়োগের গতি ধরে রাখতে চাই। বিনিয়োগকারীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ ও লাভজনক করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫ সম্পর্কে আশিক মাহমুদ বলেন, আমরা পরিকল্পিত লক্ষ্যের চেয়েও বেশি সফল হয়েছি। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিনিয়োগকারী, উন্নয়ন সহযোগী এবং অংশীজনদের কাছ থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
তিনি জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা ও উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বহু বিনিয়োগকারী।
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, সামিটে আমরা সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা ও বিশ্বমানের অবকাঠামো উদ্যোগ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের একটি শক্তিশালী পাইপলাইন তৈরি করতে পেরেছি, যাকে বাস্তব বিনিয়োগে রূপ দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা কেবল ব্যবসায়িক নয়, বরং আমাদের উন্নয়নেরও অংশীদার। তাদের মতামত অত্যন্ত মূল্যবান।
সামিটে অংশগ্রহণকারীদের মতামত ও পরামর্শ নথিভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের একটি বিস্তৃত ডেটাবেজ তৈরি করেছি এবং এখন বিনিয়োগচক্র অনুযায়ী পার্সোনালাইজড সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি জানান, সামিটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সবুজ প্রবৃদ্ধি, ডিজিটাল অর্থনীতি, টেকসই টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধশিল্প এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ।
চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫ গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব আসে। এছাড়া আরও বেশ কিছু প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সামিটে বিশ্বের ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, আমরা এই সামিটকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছি এবং একে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রস্তুত।
এমএইচএস