পুঁজিবাজারের ভিত্তি মিউচুয়াল ফান্ড হলেও দেশে এর প্রভাব খুবই সীমিত
বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ২২:০২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মকসুদ বলেছেন, পুঁজিবাজারের অন্যতম ভিত্তি মিউচুয়াল ফান্ড। তবে দেশের বাজারে এর প্রভাব এখনও খুবই সীমিত। মিউচুয়াল ফান্ড খাতের দুর্বলতার পেছনে কারা দায়ী—তা সবারই জানা। বিষয়টি পুনর্গঠনে টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং কিছু প্রস্তাবও দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে মিউচুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।
বুধবার (২৫ জুন) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা’ বিষয়ক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসি সভাপতি জাভেদ আখতার।
বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা একটা ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এ পরিস্থিতিতে নীতিনির্ধারকরা বাজারকে এগিয়ে নেওয়ার যে প্রয়াস চালাচ্ছেন, তা এক ধরনের অলৌকিক ব্যাপার। প্রতিনিয়ত আমরা বাজার নিয়ে আলোচনা করছি। তবে সূচক ওঠা-নামা আমাদের দায়িত্ব নয়—আমাদের মূল দায়িত্ব হলো বাজার ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা নির্ধারণ ও সংস্কার নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, টাস্কফোর্সের মূল কাজগুলোর একটি ছিল সুশাসন প্রতিষ্ঠা। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ইতোমধ্যে হাতে এসেছে। সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে আরও শক্তিশালী পুঁজিবাজার তৈরি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাজারে অনিয়ম প্রসঙ্গে রাশেদ মকসুদ বলেন, ১০ কোটি টাকার ক্যাপিটালের কোম্পানি ২৮৫ কোটি টাকার ক্যাপিটাল দেখিয়েছে, এতে করে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অনিয়ম দেখার দায়িত্ব অডিটরদের হলেও বিএসইসি ছাড়াও আইডিআরএ, এফআরসিসহ আরও চারটি সংস্থা এ বিষয়ে দায়িত্বশীল।
তিনি জানান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিধিমালা পুনর্বিবেচনা করছে, যাতে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে বাজারমুখী করা যায়।
এ অনুষ্ঠানে বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজন উপস্থিত ছিলেন এবং পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
এএইচএস/এমবি